শেষ আপডেট: 24th November 2024 17:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওজন ১৬৩ কেজি। স্বাভাবিকভাবেই আন্দাজ করা যায় তাঁর দেহের গড়ন কেমন হতে পারে। আর সেই দীর্ঘদেহী হওয়ার কারণেই বিস্তর সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নিউইয়র্কের এক লাইব্রেরির কর্মচারীকে। লাইব্রেরিতে যেখানে তিনি কাজ করেন সেখানের টেবিলের মাপ তাঁর দেহের তুলনায় যথেষ্টই ছোট। কাজেই কাজ করতেও বিস্তর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে।
আর ঠিক সেই কারণেই নিউইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরির ওই কর্মচারী ৩৮ কোটি টাকা চেয়ে লাইব্রেরির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ ওইটুকু জায়গায় মধ্যে তাঁকে কাজ করতে বাধ্য করছে লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ।
মামলাকারী ব্যক্তির নাম উইলিয়াম মার্টিন। ইনফরমেশন এসিস্ট্যান্ট হিসেবে ওই লাইব্রেরিতে কাজ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ওইটুকু জায়গার মধ্যে বসে কাজ করা এক ধরনের শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার।
আর ঠিক সেই কারণেই মার্টিন ব্রুকলিন ফেডেরাল কোর্টে এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করেন। আদালতে তিনি বলেন ‘আমার একটাই মাত্র অনুরোধ, আমার দেহের গড়ন অনুযায়ী একটি বড় জায়গা দেওয়া হোক। যেখানে আমি শান্তি মতো কাজ করতে পারি।’
২০২১ সালে অক্টোবর মাসে সেই জায়গা বদলে মার্টিনকে তাঁর বসার সুবিধা মতো অন্য জায়গা দেওয়া হয়। কিন্তু, ২০২৩ এর জুন মাসে আবার ওই একই জায়গায় তাঁকে ফিরিয়ে আনে লাইব্রেরির ডিরেক্টর।
মার্টিন-এর আইনজীবী আদালতে বলে, ইচ্ছাকৃতভাবে মার্টিনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, মার্টিন-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি কাজের সময় ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেন। যদিও মার্টিন তা অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, 'আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল এই মিথ্যে অভিযোগ এনে। যার জন্য আমি মানসিক অবসাদে ভুগছিলাম'।
মার্টিন আদালতকে অনুরোধ করে বলেন, তাঁকে যেন এই মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচারের জন্য লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দেয়।
এ ব্যাপারে লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, তারা যথেষ্টই কর্মচারীদের সুরক্ষা এবং কাজের পরিবেশ নিয়ে সচেতন। সমস্ত কর্মচারীকেই তারা সম্মান দিয়েই চলে।