শেষ আপডেট: 21st July 2022 07:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনাকালে এখন স্যানিটাইজারই (Hand Sanitizer) অন্যতম ভরসা। ফেস মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করারই নিদান দিচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। কিন্তু কী ধরনের স্য়ানিটাইজার কিনছেন, ব্যবহার করছেন, বেশি ব্যবহারে কী কী ক্ষতি হতে পারে সেটাও জেনে রাখা ভাল। স্যানিটাইজার ব্যবহারের নিয়ম আছে, সেটা না মানলে ভালর থেকে খারাপটাই হবে বেশি।
জেনে নিন হ্যান্ড স্যানিটাইজার (Hand Sanitizer) বেশি ব্যবহার করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে-
১) বেশির ভাগ স্যানিটাইজারে মূল উপাদান হিসেবে থাকে অ্যালকোহল। যা ত্বক জীবানুমুক্ত করে, চুলকুনিও কমাতে পারে। কিন্তু সেইসঙ্গেই শুষে নেয় ত্বকের স্বাভাবিক তেল উত্পাদন ক্ষমতা। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়ে বলিরেখা দেখা দিতে থাকে।
২) স্য়ানিটাইজারে ট্রাক্লোসান নামে একধরনের রাসায়নিক থাকে যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, কীটনাশক তৈরির কাজে লাগে। মানুষের শরীরের জন্য এটি বিষাক্ত। ত্বক সহজেই শুষে নেয় এই উপাদান। শরীরে ঢুকে লিভার, পাকস্থলী ও পেশির ক্ষতি করে।
৩) খাওয়ার আগে অনেকেই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নেন। এটা খুবই খারাপ অভ্যাস। স্যানিটাইজারের রাসায়নিক ত্বকে থেকে যায়। যেহেতু স্যানিটাইজার লাগানোর পরে আমরা আর হাত ধুই না বা মুছে নিই না, তাই এইসব রাসায়নিক খাবারের সঙ্গে শরীরে ঢুকে ক্ষতি করতে পারে।
৪) হ্যান্ড স্যানিটাইজার (Hand Sanitizer) শরীরে বিসফেনল এ(Bisphenol A) শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়। যা এন্ডোক্রিন সিস্টেমের সঙ্গে ক্রিয়া করে। এর খারাপ প্রভাব পড়ে শরীরে।
৫) হ্যান্ড স্যানিটাইজারে যদি অ্যালকোহল বেশিমাত্রায় থাকে তাহলে তা ত্বকে প্রদাহ তৈরি করে। বেশি ব্যবহারে ত্বক জ্বালা করে। যদি হাতে লাগিয়ে আগুনের সামনে যান তাহলে হাত পুড়েও যেতে পারে।
৬) স্যানিটাইজারে থাকা সিন্থেটিক ফ্র্যাগরেন্সের কারণে শরীরে সঠিক পরিমানে হরমোন তৈরি বাধা পেতে পারে।
৭) স্যানিটাইজার দিয়ে মাস্ক পরিষ্কার করবেন না, এর উপাদান নাকে-মুখে ঢুকলে হাঁচি-কাশি, বমি হতে পারে।
৮) বাচ্চাদের হাতে স্যানিটাইজারের বোতল দেবেন না। এয়ার টাইট বোতলে স্যানিটাইজার রাখুন।