শেষ আপডেট: 9th January 2025 18:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রেগনেন্সির পর শরীরে একাধিক পরিবর্তন আসে। বেশিরভাগ মহিলাই মোটা হয়ে যান। ওজন বেড়ে যায়। যার ফলে শরীরে নানা সমস্যা হয়। সেলেবরা চেহারা নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে পারেন। অনেকেই মনে করেন, সেটা শুধু সেলেবরাই পারেন। কিন্তু এই ভাবনাটা ঠিক নয়। সাধারণ মানুষও পারেন। আর তারই নিদর্শন ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সর তনুশ্রী।
ছোট থেকে গোলগাল ছিলেন। একটুতেই ওজন বেড়ে যেত তাঁর। সমস্যাটা বাচ্চা হওয়ার পর আরও বেড়ে যায়। আত্মবিশ্বাস কমতে শুরু করে। কিন্তু নিজেকে অন্য জায়গায় দেখতে চাইছিলেন তনুশ্রী। তাই ঠিক করেন, যেভাবেই হোক ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। বাড়তি ওজন কমাতে হবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বাড়তি ওজন কমাতে তনুশ্রীর শুরু হল এক অন্য লড়াই।
বিরাট কিছুর প্রয়োজন হয়নি তাঁর। ডায়েট মেনে ঘরোরা খাবার দাবারেই শরীর চর্চা শুরু করেন তিনি। নতুন মা হওয়া, বাচ্চা সামলানো, শরীর ঠিক রাখা, নিজেকে সময় দেওয়া ও সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চলা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁর কাছে। প্রবল ইচ্ছেশক্তির ফলে সে চ্যালেঞ্জ জিতে নেন। ধাপে ধাপে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রবেশ করেন এক নতুন লাইফস্টাইলে। কমিয়ে ফেলেন ৩৭ কেজি।
View this post on Instagram
টানা ছয় বছর ধরে তনুশ্রী শুধুমাত্র সুষম খাবার ও শরীরচর্চার ফলে নিজেকে আমূল বদলে ফেলেছেন। এখন শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে এসেছে এমন নয়, তিনি বহু মানুষের অনুপ্রেরণাও বটে। তাঁর অ্যাবস দেখে নিজেরও এমন পরিবর্তন চাইছেন অনেকে।
এই জার্নি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তনুশ্রী। বহু মানুষ তাঁর চেহারার পরিবর্তন দেখে জানান, তাঁরাও নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে শুরু করেছেন। একজন তাঁর পোস্টের কমেন্টে লেখেন, 'ট্রান্সফর্মেশন খুব ভাল লেগেছে। যেকোনও মানুষের উচিত নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া, এর চেয়ে ভাল আর কিছু হতে পারে না।'
আরেকজন লিখেছেন, 'অবিশ্বাস্য! আমি খুব ভালভাবে আপনার এই পরিবর্তনের জার্নিটা বুঝতে পারছি। আমার স্ত্রী ২০১৮ সালে এমনভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করেছিল। এখন দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার পর ফের ওজন কমানোর যাত্রা শুরু করেছেন।'
চেহারা যেমনই হোক, তা ভাল। শরীর ঠিক রাখা জরুরি। এই নিয়ে এক নেটিজেন লেখেন, 'আপনি আগে অনেক মিষ্টি ছিলেন। চেহারার পরিবর্তন আপনাকে আত্মবিশ্বাসী ও শক্তিশালী করেছে। কঠোর পরিশ্রমে ফল অবশ্যই পাওয়া যায়।'