শেষ আপডেট: 6th March 2025 18:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একটি সাধারণ মুখের যন্ত্রণা যে প্রাণঘাতী টিউমারে পরিনত হতে পারে, তা কখনও ভাবেননি ম্যানচেস্টারের বাসিন্দা ৩৮ বছরের নিকোলা শ। নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যান্টার্কটিকা সফর থেকে ফেরার পর নিকোলার মুখে একধরনের ঝিনঝিনে অনুভব হচ্ছিল। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন এটি মানসিক চাপের কারণে হচ্ছে। কিন্তু ধীরে ধীরে এই ব্যথা তাঁর নাক, চোখ ও মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। ব্যথা এতটাই তীব্র হয় যে মাঝে মাঝেই তাঁকে মাথা চেপে ধরে বসে পড়তে হতো।
চিকিৎসকের পরামর্শে নিকোলা এমআরআই করান, যদিও তিনি প্রথমে একে ‘অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া’ বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু সেই স্ক্যান রিপোর্ট তাঁকে হতবাক করে দেয়। রিপোর্টে দেখা যায়, তাঁর ব্রেইন স্টেম এবং অপটিক নার্ভের কাছে বিরল ও বিপজ্জনক অবস্থানে একটি মেনিনজিওমা টিউমার রয়েছে।
অবিলম্বে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন হাসপাতালে দশ ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউমারের ৯৫% অংশ সফলভাবে অপসারণ করা হয়। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যেই টিউমারটি আবার ফিরে আসে। নিকোলা বলেন, 'প্রথমে ভেবেছিলাম এটা শুধুই স্ট্রেস। কিন্তু ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে নাক, চোখ ও মাথায়। ব্যথা এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে মাঝে মাঝে আমি হাঁটু মুড়ে বসে পড়তাম।'
অস্ত্রোপচারের পরও নিকোলাকে নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। ডাবল ভিশন, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং চোয়ালে তীব্র যন্ত্রণা দেখা দেয়। সুস্থতার জন্য তিনি বোটক্স থেরাপিও নেন। এখন নিকোলা ব্রেইন টিউমার রিসার্চ করছেন। ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ সাহারা মরুভূমির ৫০ কিলোমিটার চ্যারিটি ট্রেকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। ছয় দিন ধরে তীব্র গরম, সুউচ্চ বালিয়াড়ি আর দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবেন তিনি, তাঁর সঙ্গে থাকবেন আরও ১৫ জন, যাঁরা প্রত্যেকে মস্তিষ্কের টিউমার সংক্রান্ত সমস্যার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যুক্ত।