শেষ আপডেট: 29th November 2024 20:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিপিনবাবুর কারণসুধাতে শুধু মনই ভরে না, এমনকী শীতের মরশুমে সর্দি কাশির দাপট কমাতেও বিরাট ভূমিকা পালন করে। যদিও এমনটাই বিশ্বাস করেন বহু মানুষ। তাই শহরে শীত আসতে না আসতেই বিক্রি বাড়ে রাম-ব্র্যান্ডির। বছরে মাত্র কয়েকটা দিনই শীত থাকে শহরে। তাও আবার জাঁকিয়ে ঠান্ডা থাকে বড়দিন থেকে নতুন বছর পর্যন্ত। আর তাই একদিন নিজের মতো করেই সকলে ঠান্ডাটা উপভোগ করেন।
কনসার্ট থেকে শুরু করে গেট টুগেদার- এই শীতেই কিন্তু নিমন্ত্রণের সংখ্যা থাকে সবচেয়ে বেশি। এদিকে পাহাড় বা শীতের দেশে পাড়ি দিলে 'বুড়ো সাধু'র বোতল থাকবেই অত্যাবশকীয় জিনিসের তালিকায়। শীতের পোশাক কম নিলেও কুছ পরোয়া নেই, এমন ভাব আমবাঙালির। শীতে পার্টি একটু বেশিই হয় অন্য সময়ের তুলনায়। ঠান্ডার কারণে পার্টি মানেই সেখানে থাকবে অ্যালকোহল।
শীতের সময় সর্দি কাশি থেকে বাঁচাতে পারে রাম-ব্র্যান্ডি। ঠান্ডায় রাম বা ব্র্যান্ডি খেয়ে শরীর গরম রাখার বিশ্বাস যদিও হালফিলের নয়, ব্রিটিশ শাসনে থাকা ভারতীয়রা সাহেব সুবোদের দেখেই যে এমন ধারণা তৈরি করেছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বাকি কাজটা সেরেছে বিদেশি সিনেমা। এই সব কিছুর পরেও একটা প্রশ্ন থেকে যায়, এই ধারণা কি সত্যি? শীতে সর্দি কাশি দূর করতে কি আদৌ কাজ দেয় রাম আর ব্র্যান্ডি, নাকি সবটাই গুজব? জেনে নেওয়া যাক এই ধারণা আদৌ সত্যি নাকি ভ্রান্ত!
কীভাবে তৈরি করা হয় রাম?
আসলে জনপ্রিয় সুরা রাম তৈরি হয় আখ থেকে। আখের গুড় গাঁজিয়ে তার থেকে রাম বানানো হয়। দুই রকমের রাম হয়, হোয়াইট ও ডার্ক রাম। হোয়াইট রাম ককটেলে বেশি ব্যবহার করা হয়। আর ডার্ক রামটাই সাধারণত বেশি খাওয়া হয়। এতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি। যা শীতকালে শরীরের উষ্ণতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ধারণাটা খুব একটা উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়।
তবে রাম-ব্র্যান্ডি খেলে সর্দি কাশি দূরে পালিয়ে যাবে বা এমন শরীর গরম হবে যে প্রচন্ড ঠান্ডাও হার মানবে, এমনটা কিন্তু আদৌ হয় না। তাই পুরোটাই যে গাঁজাখুরি গল্প, তা নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালকোহল কখনওই শরীরকে গরম রাখতে পারে না। কিছুক্ষণের জন্য হয়তো শরীর গরম থাকে। তারপরই শরীর ঠান্ডা হতে শুরু করে। কিন্তু সকলেই ভাবেন যে শরীর বুঝি ভেতর থেকে গরম রয়েছে। এতে আরও বাড়ে শারীরিক জটিলতা। তাই শীতে সুস্থ থাকতে বার বার জল খান, রাম নয়।