শেষ আপডেট: 11th November 2024 19:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উৎসব অনুষ্ঠানে অনেকেই আকণ্ঠ মদ্যপান করেন। তারপর তাঁদের পিছু নেয় মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাবের মতো সমস্যা। কারও কারও চার থেকে পাঁচ পেগ মদ খেয়ে নিলেও নেশা হয় না। কেউ কেউ আবার এক পেগেই পা টলমল করতে থাকে। অ্যালকোহল খাওয়ার পরে শরীরে যা কিছু হয়, তার আবার একটা পোশাকি নাম রয়েছে, তা হল হ্যাংওভার। এই প্রভাব রুখতে কতজন কত কীই না করেন।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ২২ শতাংশ মানুষ অ্যালকোহল পান করার পরে হ্যাংওভারের মতো অস্বস্তিতে পড়েন। অল্প মদ্যপানেই নেশা হয়ে যাওয়ার পিছনে আসল কারণ কোভিড ১৯ অথবা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া। এই গোটা ব্যাপারটাকে 'হ্যাংওভার অ্যানজাইটি' বা 'হ্যাংজাইটি' বলে। গত কয়েক বছরে মানুষের মধ্যে মদ্যপানের পর হ্যাংওভারের প্রবণতা খুবই বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যাংওভার হলে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুব দরকার। হ্যাংওভারের সময় শরীরে জলের অভাব হয়। তাই প্রচুর জল পান করুন। ডাবের জল এবং তাজা ফলের রসও খাওয়া যেতে পারে। যে দিন সকালে আপনার হ্যাংওভার থাকবে, চেষ্টা করতে হবে সেই দিনটা আর কোনও মিষ্টি জিনিস না খাওয়ার। এতে সমস্যা আরও বাড়বে বৈ কমবে না।
আদা চা বমি বমি ভাব এবং পেট ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। এক টুকরো আদা জলে ফুটিয়ে পান করলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এটি হজমশক্তি উন্নত করে এবং শরীরকে শিথিল করে। চিনি না দিলেই ভাল হয়। হ্যাংওভারের সময় শরীরে শক্তির জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন। তাই সেই দিনটা পুরো ডিম, দই ও অন্যান্য প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়াই ভাল।
কী কারণে হ্যাংওভার হয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মদ্যপান করার পরে শরীরে অ্যালকোহলের কার্যকারীতা শুরু হয়। সেই সঙ্গে ডিহাইড্রেশনও দেখা দেয়। অ্যালকোহল সেবনের কারণে শরীরে অনেক জৈবিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে, ফলে শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। সেটাকেই হ্যাংওভার বলে।
অ্যালকোহল শরীরে গ্লুকোজ মাত্রা হ্রাস করে, যার ফলে শক্তির অভাব হয় এবং দুর্বল, খিটখিটে এবং ক্লান্ত বোধ হয়। এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকেও প্রভাবিত করে। তবে এমনটা ব্যক্তি অনুযায়ী আলাদা আলাদা হয়। এক পেগ মদ খেয়েই কোনও কোনও ব্যক্তির নেশা হয়ে যায়। তার কারণ হল তাঁরা সঠিক পরিমানে জল পান করেন না।