বিশ্ব অ্যাজমা দিবস
শেষ আপডেট: 6 May 2025 16:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজ, মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার, পালিত হচ্ছে বিশ্ব অ্যাজমা দিবস। শ্বাসকষ্টজনিত দীর্ঘমেয়াদি রোগ অ্যাজমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতেই এই দিনটি পালন করা হয় বিশ্বজুড়ে। এবারের থিম—‘Asthma Education Empowers’—অ্যাজমা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানই পারে রোগ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি হতে।
চিকিৎসকদের মতে, ধুলোমাটি, দূষণ, ধূমপান, ঠান্ডা পরিবেশ এবং জেনেটিক কারণে অ্যাজমার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললেই এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
“অ্যাজমা শুধু একটা রোগ নয়, এটা অনেক সময় নির্ভর করে আমরা কোথায় থাকছি, সেখানে কেমন পরিবেশ রয়েছে তার উপর।”—বিশ্ব অ্যাজমা দিবস (৬ মে, ২০২৫)-এ এমনই জানালেন কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালের ফুসফুসের চিকিৎসক ডা. অরূপ হালদার।
তিনি বলেন, “প্রতিদিন আমরা দেখছি, অনেক শিশু আর বয়স্ক মানুষ ঠিক করে শ্বাস নিতে পারছেন না। শরীর খারাপ হওয়ার জন্য নয়, বাতাসটাই এত খারাপ হয়ে গেছে যে, মানুষ হাঁপিয়ে উঠছেন। PM 2.5, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড আর ওজোনের মতো গ্যাস চুপিচুপি আমাদের ফুসফুসে ক্ষতি করছে, অ্যাজমার কষ্ট বাড়াচ্ছে, এমনকি ফুসফুসের এমন ক্ষতি করছে যেটা আর ঠিক করা যায় না।”
ডা. হালদার জানান, “এই দূষণ আমাদের চারপাশেই আছে। এটা কোনও ভবিষ্যতের ভয় নয়। আজ, এখন, আমাদের শহরে—সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে ছোটরা আর বয়স্করা। তাই বিশ্ব অ্যাজমা দিবস আমাদের সচেতন হওয়ার একটা সুযোগ। আমাদের ভাবতে হবে—আমরা কেমন গাড়ি চালাচ্ছি, কারখানাগুলো কেমন চলছে। সরকারকে আরও কঠোরভাবে দূষণ কমানোর জন্য নিয়ম বানাতে হবে। শহর বানানোর সময় সবুজ জায়গা আর দূষণমুক্ত পরিবহনকে গুরুত্ব দিতে হবে।”
চিকিৎসক আরও বলেন, “আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে, রোগ চেনার ব্যবস্থা সহজ করতে হবে, ইনহেলার যেন সবার কাছে সহজে পৌঁছে যায়, তা দেখতে হবে। আর একটা পরিষ্কার বাতাসের দাবিতে সবাইকে একজোট হতে হবে।”
সবশেষে তিনি বলেন, “আর যেন কোনও শিশুকে হাঁপিয়ে উঠতে না হয়। আমাদের এখনই ভাবতে হবে—কীভাবে রক্ষা করা যায় আমাদের নিঃশ্বাস, আমাদের ভবিষ্যৎ। কারণ, প্রতিটি নিঃশ্বাসের দাম আছে।”