শেষ আপডেট: 14 November 2023 08:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম বড় কারণ ডায়াবেটিস। বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিস (Type 2 Diabetes) হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে, এমনটাই দাবি করছেন চিকিৎসকরা। ডায়াবেটিসের রোগীদের নিয়মিত হার্টের চেক আপ করিয়ে নেওয়া জরুরি। কারণ অনেক সময় এই হার্ট অ্যাটাক এতটাই যন্ত্রণাহীন হয় যে প্রথম কয়েক ঘণ্টা কোনও উপসর্গই বোঝা যায় না। তাই আগে থেকেই সাবধান হতে হবে। যদি কোনও ডায়াবেটিক রোগী শ্বাসকষ্ট, উৎকণ্ঠা বা বুকে ব্যথার মতো সমস্যায় ভোগেন তাহলে অবিলম্বে টেস্ট করিয়ে নেওয়া জরুরি।
ডায়াবেটিস নীরবেই আসে, এবং শরীর-স্বাস্থ্যকে তছনছ করে চলে যায়। তাই ডায়াবেটিস মানেই ত্রাস। জীবন থেকে এক ধাক্কায় অনেক কিছু বাদ চলে যাওয়া। ভারতে কম করেও ৬ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসের শিকার। সমীক্ষা বলছে, সাত কোটিরও বেশি প্রি-ডায়াবেটিক। আর টাইপ ২ ডায়েবিটস ক্রমেই তার ডালপালা ছড়াচ্ছে। নিদেনপক্ষে ৯০-৯৫ শতাংশ পুরুষ ও মহিলা এই অসুখে ভুগছেন। মধ্যবয়স্করা তো আরও। একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে ও উপসর্গ দেখা দিলেই সচেতন হলে বশে রাখা যায় এই সাইলেন্ট কিলারকে।
ডায়াবেটিস থেকে কীভাবে হার্টের রোগ হতে পারে?
টাইপ ২ ডায়াবেটিস আছে এমন রোগী যদি বেশিমাত্রায় ননস্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ (NSAID) নিতে থাকে তাহলে তাঁর হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। টাইপ ২ ডায়াবেটিস যাঁদের আছে তাঁদের শরীরে লাইপোপ্রোটিন ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স (LPIR) বেড়ে যায়। যে কারণে প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। ডায়াবেটিসের কারণে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ে। এই খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কোলেস্টেরল হার্টের রোগের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।
টাইপ টু ডায়াবিটিস রোগীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ‘অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস’ হয়। এটি এমন রোগ, যাতে ধমনীর ভিতরের দেওয়ালে বাড়তি চর্বি জমে যায়। তার ফলে, ধমনীতে রক্তসংবহন থমকে যায়। যার পরিণতিতে হার্ট অ্যাটাক হয়।
কী কী লক্ষণ গোড়া থেকেই খেয়াল করতে হবে?
ডায়াবেটিস বুকে বোঝা হিসেবে চেপে বসতে পারে। কাশি বা শ্বাসকষ্ট সাধারণ নিউমোনিয়া ভেবে অবহেলা করবেন না। ডায়াবেটিস থাকলে এই সমস্যাই হয়ে উঠতে পারে ভয়াবহ।
ডায়াবেটিস ধরা পড়লে প্রথমেই খেয়াল রাখা উচিৎ সন্ধের দিকে পায়ের পাতা ফুলছে কিনা। এই সমস্যা দেখা দিলে সময় না নষ্ট করে নিউরোপ্যাথি ও ভ্যাসকুলোপ্যাথির সাহায্য নিতে হবে।
ডায়াবেটিস হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে, দেহের ওজন কমে যেতে পারে, বারবার তেষ্টা পেতে পারে, ঘনঘন বাথরুম যেতে হতে পারে, খিদে বেড়ে যেতে পারে।
হাতে-পায়ে ব্যথা হতে পারে অনেকের।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রাথমিক পর্যায় ধরা পড়লে, সঠিক ট্রিটমেন্ট ও নিয়ম মেনে চললে পরবর্তী কালে চোখ, কিডনি, নার্ভ, হার্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের বড়সড় ক্ষতি রোখা সম্ভব।