শেষ আপডেট: 19th April 2024 18:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অস্বস্তিকর গরম থেকে এখনই রেহাই পাচ্ছেন না রাজ্যবাসী। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদ আরও চড়বে। খাস কলকাতার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। তাপপ্রবাহে নাজেহাল হতে হবে বাংলাকে। এই সময়ে রোদে বেশি না বেরোতেই পরামর্শ দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে। এমন তীব্র গরমে কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতেই হচ্ছে। চড়া রোদে যেমন ভোটের লাইনে দাঁড়াতে হবে, তেমনই অফিসকাছারিও যেতে হবে। তাই এই সময়ে চড়া রোদ থেকে বাঁচতে কী কী করবেন, উপায় বলছেন ডাক্তারবাবুরা।
লু থেকে বাঁচতে কী কী করবেন?
ডাক্তারবাবুরা বলছেন, চড়া রোদে বেশিক্ষণ রাস্তায় থাকবেন না। বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টে অবধি সময়টা রাস্তায় না থাকার চেষ্টা করুন।
প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। কারণ এ সময় ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর লবণ বেরিয়ে যায়।
চড়া রোদে দুপুরের দিকে রাস্তায় না বেরনোই ভাল। যদি বেরতে হয় তাহলে ছাতা, টুপি সঙ্গে রাখতে হবে। পা ঢাকা জুতো হলে ভাল হয়। হাল্কা, ঢিলাঢালা সুতির পোশাক পরুন। স্কিন টাইট বা সিন্থেটিক কিছু পরবেন না।
শরীরে অস্বস্তি হলে ওআরএস খান। বাড়িতে সরবত, ফলের রস, লস্যি বানিয়ে খান। লেবুর জল খেতে পারেন। শরীর সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে।
ত্বক ভাল রাখতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। হাল্কা, ঢিলাঢালা পোশাক পরুন। স্কিন টাইট পোশাক না পরাই ভাল।
যাঁরা বেশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকেন, কনকনে ঠান্ডা জল খাওয়ার প্রবণতা থাকে, গরম থেকে বেরিয়েই দীর্ঘ সময় এসি ঘরে কাটান তাঁদের অসুখ চট করে ধরে নেবে। প্রচণ্ড গরম থেকে এসে এসি ঘরে ঢোকার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আবার এসি থেকে বেরিয়েও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। শরীরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে।
এই গরমে ডায়রিয়া সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই সময় ঘন ঘন পেট খারাপ হয়। তাই রাস্তার খাবার, বিশেষত কাটা ফল বা লস্যি, ফলের রস না খাওয়াই ভাল। ভাল করে সিদ্ধ করে রান্না করা খাবার খান। সব সময় জল সঙ্গে রাখবেন। দূষিত জল থেকে সংক্রমণ ছড়ায়।
হিট স্ট্রোক এড়াতে শরীর ঠান্ডা রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ছায়ায় বা অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান। চোখেমুখে জলের ঝাপটা দিন। পারলে ঠান্ডা জলে গা স্পঞ্জ করিয়ে দিন। বিপদ অনেক কেটে যাবে।
শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বাড়তে থাকলে, অস্বস্তি শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গেই কোনও ঠাণ্ডা জায়গায় গিয়ে বসলে ভাল। দরকার হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচাতে কালো চশমা পরাটা জরুরি। কিন্তু এই কালো চশমারও রকম ফের আছে। গত কয়েক বছর ধরে বেড়েছে পোলারাইজড কালো চশমার ব্যবহার। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিকে আটকাতে এই লেন্স প্রায় ১০০ শতাংশ সক্ষম। তবে পোলারাইজড কালো চশমা পরলে স্ক্রিনে দেখতে সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভাল ব্র্যান্ডের রোদচশমাই পরুন।
ডাক্তারবাবুরা বলছেন, শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে রক্ত ঘন হতে থাকে। মাথায় রক্তচাপ বাড়ে। শরীরের স্বাভাবিত তাপমাত্রা আর রক্তচাপের মধ্যেও সামঞ্জস্য থাকে না। যার কারণেই স্ট্রোক হয়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। যাদের হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে বিপদের ঝুঁকি বেশি। তাই সাবধান থাকতেই হবে।