শেষ আপডেট: 14th October 2024 19:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাছ ভাজা হোক বা আলু পোস্ত, কেক হোক বা ফিশ ফ্রাই, তেল ছাড়া গতি নেই কারও। এয়ার ফ্রায়ার মার্কেটে এলেও তেলের জুড়ি মেলা ভার। নানা ধরনের তেল পাওয়া যায় বাজারে। যার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হল রিফাইন তেল বা সাদা তেল এবং কোল্ড প্রেসড অয়েল।
এই দুই তেল নিয়েই কনফিউশড থাকে অনেকে। কোনটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল, সে নিয়েও থাকে দ্বিমত। এই দুই তেল কেমন তা জানার আগে দুই তেল আসলে কীভাবে তৈরি হয় তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
রিফাইনড অয়েল
আমাদের রান্নাঘরে ঢোকার আগে পর্যন্ত একাধিক পদ্ধতি দিয়ে যেতে হয় রিফাইনড অয়েলকে। রিফাইনড, নামেই পরিচয়। বেশিদিন টিকিয়ে রাখার জন্য এই তেলকে প্রসেস করা হয় একাধিক বার।
পুষ্টিবিদদের মতে, এই একাধিক প্রসেসের জন্য তেলের গুণাগুন নষ্ট হয় এবং এতে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হতে থাকে। শুধু তাই নয়, এই তেলে মেশানো হয় বিভিন্ন ফ্লেভারও।
কোল্ডপ্রেসড অয়েল
রিফাইনড তেলে যেমন প্রাকৃতিক উপাদান বলে কিছু থাকেই না। কোল্ডপ্রেসডড অয়েলে তা নয়। কোল্ডপ্রেসডড অয়েল তৈরি হয় ধীর গতিতে। শষ্যদানা ধীর গতিতে পিষে এই তেল তৈরি হয়।
আজকাল কোল্ডপ্রেসডড অয়েলের জনপ্রিয়তা অনেকাংশে বেশি। এতে প্রাকৃতিক উপাদান থাকে, পুষ্টিও থাকে তাই এই তেলের দাম রিফাইনড অয়েলের চেয়ে বেশি।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, রিফাইনড অয়েল যেহেতু খুব বেশি তাপমাত্রায় প্রসেস করা হয়, এতে কোনওরকম পুষ্টিগুণ আর থাকে না। কিন্তু কোল্ডপ্রেসডড অয়েলের ক্ষেত্রে তা হয় না।
তেল খাওয়াই ভাল না, কিন্তু যদি খেতে হয়, কোল্ড প্রেসড অয়েল খাওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।