শেষ আপডেট: 10th December 2024 13:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'নো রিফিউজাল' গাড়ি তো দেখেইছেন। কিন্তু 'নো রিফিউজাল' চিকিৎসা পরিষেবা? আজ্ঞে হ্যাঁ, এমনই এক বিশেষ ব্যাপার রয়েছে বেলেঘাটার সিআইটি মোড়ের কাছে হাজার তিনেক স্কোয়ার ফিট এলাকা জুড়ে। যার নাম 'ওডোন্টোরা'। বিষয়টা পরিষ্কার করে বলা ভাল।
ডক্টর হিমাদ্রী চক্রবর্তীর উদ্যোগে তৈরি হওয়া এই 'ওডোন্টোরা' হল নতুন ডেন্টাল ক্লিনিক। শহরের আরও বহু ডেন্টাল ক্লিনিকের মাঝে এই ক্লিনিকটির বিশেষত্ব এই যে, খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবরকম চিকিৎসা ও পরিষেবা মিলবে একটা ছাদের তলায়। আজ অর্থাৎ রোববার থেকে খুলে গেল এই ঠিকানা। ব্যস্ততার মধ্যেই ডক্টর চক্রবর্তী সময় দিলেন দ্য ওয়াল-কে। ঘুরিয়ে দেখালেন তাঁর সাধের ক্লিনিক। শোনালেন আর পাঁচটা ক্লিনিকের থেকে ওডোন্টোরা কতটা আলাদা।
তিনি বলেন, 'কলকাতায় ২০-২২ বছর ধরে তো প্র্যাকটিস করছিলামই। কিন্তু এই ক্লিনিকের প্ল্যানিং একটু আলাদা। এর মধ্যে তিনটি টায়ার আছে, ঠিক যেমন ট্রেনের মধ্যে থাকে। মাল্টি স্পেশ্যালিটি ক্লিনিক অনেক আছে কিন্তু মাল্টি টায়ার ক্লিনিক খুব একটা নেই। আমাদের সমাজের একটা বড় অংশের মানুষ অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন। এখন এআই-এর যুগ, তাল মিলিয়ে চিকিৎসা পরিষেবাতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। সবার সাধ্যের মধ্যে এমন চিকিৎসার খরচ বহনের সুযোগ থাকে না। অনেক ক্লিনিকে অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার থাকলেও বেসিক চিকিৎসার জন্য সেই খরচের খুব একটা হেরফের হয় না। অন্যদিকে, বেসিক চিকিৎসা দিতে গেলে কোথাও কোথাও দেখা যায় সেখানে ভাল চিকিৎসার মতো পরিকাঠামো নেই। আমার এই থ্রি টায়ার ক্লিনিকের উদ্দেশ্য হচ্ছে তিন ধাপের সার্ভিসের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা একই থাকবে। কেবল সার্ভিস অনুযায়ী বাজেট আলাদা করা হয়েছে। টাকার কথা চিন্তা করে কোনও রোগী ফিরে যাবে না। নো রিফিউজাল ক্লিনিক এই ওডোন্টোরা।'
ডক্টর হিমাদ্রীর কথায়, 'এখানে মাত্র পঞ্চাশ টাকা দিয়েও চিকিৎসা করাতে পারবেন। কিন্তু পরিষেবার সঙ্গে কোনও আপস করা যাবে না। তিনটে ধাপে অর্থাৎ মাল্টিভার্স, গ্যালাক্সি এবং মিটিওর। পশ্চিমী দুনিয়ায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই মডেলই চলছে অনেক বছর ধরে। এদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমনটা শুরু হলেও, ডেন্টাল কেয়ারের ক্ষেত্রে এখনও তেমনটা প্রচলিত নয়।'
সেরা চিকিৎসাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ওডোন্টোরায়, সেটাই বুঝিয়ে বলেন হিমাদ্রীবাবু। জানান, চিকিৎসকদের দক্ষতার সঙ্গে বা নির্ভুল চিকিৎসার সঙ্গে এই ক্লিনিক কোনও আপস করবে না। একই কথা শোনা গেল তাঁর কাছে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের গলাতেও। একজন তো বলেই দিলেন, 'দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ডাক্তারবাবুর সঙ্গে আলাপ। উনি যেভাবে যত্ন নিয়ে, আন্তরিক ভাবে এতদিন চিকিৎসা করেছেন, তার জন্য যে কোনও কৃতজ্ঞতাই কম পড়ে যাবে। উনি যে আমাদের সমাজের সব স্তরের মানুষের কথা ভেবে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ। আমার মতো আরও অনেকেই হয়তো ওডোন্টোরায় এসে সেরা বেস্ট পরিষেবা পাবেন।'