শেষ আপডেট: 29th September 2023 21:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নতুন জীবনে পা দিয়েছেন ধনকুবের মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানি। দীর্ঘদিনের বান্ধবী রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠানে যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিল তা ছিল অনন্তর ওজন। অনন্ত আম্বানির চেহারা বরাবরই ভারীর দিকে। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে একেবারে ছিপছিপে অনন্তকে দেখে অবাকই হয়েছিলেন তিনি। কীভাবে এত তাড়াতাড়ি রোগা হয়েছিলেন অনন্ত আম্বানি সেই নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়। জানা গিয়েছিল কোনওরকম সার্জারি বা লাইপোসাকশানের ধার ধারেননি তিনি। বরং সুষম ডায়েট ও শরীরচর্চা করেই ওজন কমিয়েছিলেন। লাইফস্টাইল মডিফিকেশনই ছিল তাঁর দ্রুত মেজ ঝরানোর উপায়।
২০১৭ সাল নাগাদ ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়েছিলেন অনন্ত আম্বানি। কয়েক মাসের চেষ্টা এবং পরিশ্রমে একেবারে নিজের ভোল বদলে ফেলেছিলেন মুকেশ-পুত্র। ছিপছিপে অনন্তকে দেখে অবাক হয়ে হয়েছিলেন অনেকেই।
চলুন জেনে নেওয়া যাক রোগা হওয়ার জন্য ঠিক কী কী করেছিলেন মুকেশ-পুত্র–
চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার পুরোপুরি বাদ ছিল খাদ্য তালিকা থেকে। ডায়েট ছিল সম্পূর্ণ ভাবে কার্বোহাইড্রেট ফ্রি। বাদ ছিল সমস্ত রকম ফ্যাটি খাবারও। ঘিয়ে ভাজা খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতেন তিনি। তবে দিনে হাফ চামচ ঘি খেতেন, আর খেতেন প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসব্জি, ফল।
প্যাকেটজাত খাবার, জাঙ্ক ফুডকে গুড বাই বলেছিলেন অনন্ত। কঠোরভাবে শাকাহারী ডায়েট মেনে চলতেন। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে প্রোটিন, নানা রকম ডাল খেতেন। সারাদিনে এমন খাবার খেতেন যা থেকে ১২০০-১৪০০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। পুরোপুরি সুষম ডায়েট মেনে চলতেন আম্বানি-পুত্র।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় অনন্তকে ছোটবেলা থেকেই অনেক ওষুধ খেতে হত। কম বয়সে এতটা মোটা হয়ে যাওয়ার পিছনে এটাও ছিল একটা বড় কারণ। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর অনমনীয় মনোবলেই এই ‘ম্যাজিক’ দেখাতে পেরেছেন তিনি।
হাঁটতেন ২১ কিলোমিটার। এ ছাড়াও রোজের রুটিনে ছিল যোগা, ওয়েট ট্রেনিং, কার্ডিও এক্সারসাইজ, ফাংশনাল এক্সারসাইজও।
সারাদিনে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা জিমেই কাটাতেন। প্রচুর পরিমাণে জল খেতেন, পর্যাপ্ত ঘুমোতেন। তাঁকে নানারকম ওষুধ খেতে হত, কিন্তু তাও স্বাভাবিকভাবেই কঠোর অনুশাসন মেনে ওজন কমিয়েছিলেন। প্রতি মাসে ৬ কেজি করে ওজন কমাতেন তিনি।