শেষ আপডেট: 15th March 2025 22:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দোলের সারাদিন মিষ্টি, ঠান্ডাই, গুজিয়া—এসব খাওয়ার ধুম লেগে যায়। বিশেষত, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। অনেকেই ভাবেন, একটু মিষ্টি খেলেই বুঝি সুগার বেড়ে যাবে! তাই খাওয়ার পরেই শুরু হয় দুশ্চিন্তা—কী হবে? সুগার বাড়বে না তো?
তবে জানেন কি, হোলির দিন মিষ্টি খেয়েও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিন সামান্য একটু মিষ্টি বা ঠান্ডাই খেলে শরীরের ওপর খুব একটা প্রভাব পড়ে না। তবে শর্ত একটাই—পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। কেউ যদি খুব বেশি খেয়ে ফেলেন, তাহলে পরের দিন থেকে ডায়েট, শরীরচর্চা আর হাঁটা-চলা বাড়িয়ে দিলে সুগার সহজেই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখন বেশ কটাদিন শস্যজাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন ওট, গম, বারলি ইত্যাদি দানা শস্য নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এগুলো ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবারের ভাল উৎস, যা হজমেও সুবিধা দেয়।
সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। পালং, লেটুসের মতো সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। কম কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালোরি থাকায় এগুলো সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খাবারের সময় সালাড বা স্যুপে এগুলো যোগ করলে বাড়তি উপকার পাবেন।
বাদাম খেলে ভাল হয়। সুস্থ শরীরের জন্য বাদাম খুবই উপকারী। আমন্ড ও ওয়ালনাটের মতো বাদামে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃদযন্ত্রেরও যত্ন নেয়। তাছাড়া প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, মাংস ও ডিম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করে। তবে এসব খাবার গ্রিল, বেক বা সেদ্ধ করে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত, সুগারের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এগুলো ভাল বিকল্প। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। এতে বোঝা যাবে, খাবারের কারণে সুগার বেড়েছে কি না। পাশাপাশি, নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়া খুব জরুরি।