শেষ আপডেট: 19 February 2024 20:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার (Gallstones) ঝুঁকি আছে কিনা তা আগাম বোঝার উপায় আছে। রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কত জানতে পারলেই বোঝা যাবে ভবিষ্যতে গলব্লাডারে স্টোন বা গলস্টোন হওয়ার ঝুঁকি আছে কিনা। এমনটাই দাবি চিকিৎসকদের।
ডাক্তারবাবুরা বলছেন, গলব্লাডারে স্টোন ও ক্যালসিয়ামের মধ্যে সম্পর্ক আছে। রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বিগড়ে গেলে গলস্টোন হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়ে।
গলব্লাডারে স্টোনের সঙ্গে ক্যালসিয়ামের কী সম্পর্ক?
পিত্তথলির পাথর আসলে ছোট ছোট মটরের দানা বা তার চেয়েও বড় শক্ত দানাদার বস্তু, যা বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। এটা নির্ভর করে কী পদার্থ দিয়ে পাথর তৈরি হয় তার ওপর। কোলেস্টেরল, বিলিরুবিন বা ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি এই পাথরগুলো পিত্তরসের সঙ্গে মেশানো থাকে। হালকা বাদামি, ময়লাটে সাদা বা কালো রঙের হতে পারে এই পাথর। পেটের ডানদিকে লিভারে পিছনে ও নীচের দিকে পিত্তথলি থাকে। এখানেই পিত্তরস তৈরি হয়। এর কাজ হল বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করা অর্থাৎ হজমে সাহায্য করা। নানা কারণে পিত্তথলিতে বিভিন্ন পদার্থ জমে গিয়ে পাথর তৈরি করে।
ডাক্তারবাবুরা বলছেন, কিডনি স্টোনের সঙ্গে ক্যালসিয়ামের সম্পর্কের কথা জানা ছিল এতদিন। কিন্তু গবেষণা বলছে, শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়লে ভবিষ্যতে গলস্টোনের আশঙ্কা প্রবল। ক্যালসিয়াম লেভেল কত আছে তা নিয়মিত পরীক্ষা করালেও বোঝা যাবে ভবিষ্যতে গলব্লাডারে স্টোন হওয়ার ঝুঁকি আছে কিনা।
আসলে, আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থির পেছনে চারটে প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি থেকে একধরনের হরমোন বের হয়। এই হরমোনের নাম প্যারাথরমোন। এর কাজই হল রক্তে ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখা। যদি এই হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় তাহলে সমস্যা হয় দুটো--১) প্যারাথরমোন বেড়ে গিয়ে হাইপার প্যারাথাইরয়েডিজম রোগ হয়। এতে গলার কাছে ফোলা ভাব দেখা যায়, প্যারাথাইরয়েড জনিত টিউমারও তৈরি হতে পারে। ২) প্যারাথরমোনের বেশি ক্ষরণের কারণে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বিগড়ে যায়। তখন পিত্তথলিতে পাথর (Gallstones) জমার সম্ভাবনা বাড়ে। মুঠো মুঠো ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেলেও এই আশঙ্কা বেড়ে যায়।
আগে গলব্লাডারে স্টোন (Gallstones) পরীক্ষা করার উপায় ছিল পেটের আলট্রাসোনোগ্রাফি করা। এখন ক্যালসিয়াম লেভেল চেক করেও গলব্লাডারে স্টোন হওয়ার আগাম আভাস পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকেরা।