শেষ আপডেট: 7th December 2024 19:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শহর মফস্বল তো বটেই গ্রামে গঞ্জেও অনেকের ধারণা যে ডিম চুলের পুষ্টিতে সাহায্য করে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই ধারণা লালন করে চলেছে। এখন কৌতূহলের বিষয় হল, এই অভ্যাস কতটা বিজ্ঞানসম্মত। চুলের গ্রোথে ডিমের কি আদৌ কোনও ভূমিকা রয়েছে। নাকি একেবারেই নেই।
ডিম চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়
ডিমের পুষ্টিগুণ চুলের নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে। এটি চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি মাথার ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ সরিয়ে দেয়। ফলে মজবুত ও নতুন চুল গজায়।
চুল পড়া কমায়
ডিমের প্রোটিন চুলের গোড়ায় পুষ্টি সরবরাহ করে। বিশেষত, এতে থাকা ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), বি২ (রাইবোফ্লাভিন), বি৫ (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড), ও বি৭ (বায়োটিন) মাথার ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের শিকড় মজবুত করে। ফলে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজায়।
চুলের রুক্ষতা কমায়
শুষ্ক ও রুক্ষ চুল ভঙ্গুর হয় এবং সহজে ঝরে পড়ে। ডিমে থাকা ফোলিক অ্যাসিড ও প্রোটিন চুলের আর্দ্রতা ধরে রেখে রুক্ষতা দূর করে। এটি চুল মসৃণ ও চকচকে করতে সাহায্য করে।
ইলাস্টিসিটি বাড়ায়
ডিমের কুসুমে থাকা লুটেইন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। এটি চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করে এবং চুলের গুণগত মান উন্নত করে।
ড্যামেজ চুল ভাল করে
চুলের ৭০ শতাংশ কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে তৈরি। ডিমের প্রোটিন চুলের কোষে কেরাটিনের ঘাটতি পূরণ করে চুল শক্তিশালী করে তোলে।
চুলে ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়
ডিম চুলের প্রাকৃতিক তেল রক্ষা করে, যা কৃত্রিম শ্যাম্পু ব্যবহারে নষ্ট হয়ে যায়। নিয়মিত ডিম ব্যবহারে চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছয়, চুল ঝলমলে হয়ে ওঠে।
অতিরিক্ত সেবাম নিয়ন্ত্রণ করে
তৈলাক্ত মাথার ত্বকে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর ঝুঁকি বেশি থাকে। ডিমের কুসুম মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, স্ক্যাল্প আর্দ্র থাকে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়।