শেষ আপডেট: 3rd December 2024 23:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রস্রাব পাওয়া খুবই স্বাভাবিক এক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। তবে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা যতই প্রস্রাব পাক কষ্ট করে চেপেচুপে থাকবেন, কিন্তু নোংরা শৌচালয়ে কিছুতেই যাবেন না। কারণ তা রোগ-সংক্রমণের আখড়া। পাবলিক টয়লেটে গেলেই সেখান থেকে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে, এই কথা ভেবেই সেদিকে পা বাড়ান না অনেকেই। দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখার কারণে শরীরের ১২টা বাজে, এই বিষয়টি অনেকেরই জানা।
এক কথায় প্রস্রাব কোনও ভাবেই চেপে রাখা যাবে না। এতে মূত্রথলির উপর চাপ পড়ে, শরীরের উপর চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস থেকে গেলে সেখান থেকে আরও ৫টি জটিল স্বাস্থ্যসমস্যা আসতে পারে। জেনে নেওয়া যাক দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখার ফলে ঠিক কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মোটামুটি ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিলিটার পর্যন্ত মূত্র ধরে রাখতে পারেন যে কেউ। এর চেয়ে আরও কিছুটা বেশি মূত্র ধরে রাখতে হলে মূত্রথলি তার পেশিকে প্রসারিত করে। কিন্তু সেটি মাঝে সাঝে হলে কোনও সমস্যা নেই, নিয়মিত হলেই বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। অনেকক্ষণ ধরে প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মূত্রনালীতে উপস্থিত কিছু ব্যাক্টেরিয়া প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। কিন্তু যখন দীর্ঘ সময় মূত্রথলিতে প্রস্রাব আটকে থাকে, তখন ব্যাক্টেরিয়ার দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটতে পারে, যা ডেকে আনে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ।
মূত্র এই ভাবে চেপে রাখতে গিয়ে একসময় মূত্র তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায়। কারণ এতে পেলভিক পেশির উপর চাপ পড়ে। ফলে যখন-তখন ইউরিন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই সঙ্গে ব্লাডার ব্লাস্ট করে যাওয়া খুবই বিরল ঘটনা তবে দীর্ঘক্ষণ ইউরিন চেপে রাখলে এই সমস্যাও কিন্তু হতে পারে। মূত্রের মধ্যে থাকে নানারকম ব্যাকটেরিয়া। এছাড়াও কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে যা মূত্রনালীতে আটকে থাকে। এরপর মূত্রাশয় ফেটে গেলে সেখান থেকে আসতে পারে হাজারো বিপত্তি।
একটানা অনেকক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখলে সেখান থেকে মূত্রনালির সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়াও যদি দীর্ঘ সময় ধরে মূত্রাশয়ে ইউরিন জমতে থাকে তাহলে তা ফেটে যেতে পারে। কারণ মূত্র ধরে রাখার নির্দিষ্ট একটা ক্ষমতা রয়েছে। মূত্রাশয় ফেটে গেলে সেখান থেকে পুরো শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তার ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।