শেষ আপডেট: 10th December 2024 17:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। প্রেমের মাস না এলেও শীত মানেই যে প্রেমের মরশুম, তা স্বীকার করেন অনেকেই। বাঙালির কাছে শীতকাল মানেই আবেগ। বছরের শেষভাগে এসে শীতকে উপভোগ করে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন সিংহভাগ বাঙালি। তবে শীত মানেই যে আলস্যের আধিপত্য, তা কিন্তু নয়। শীত মানেই বেড়ে যায় যৌন আকাঙ্ক্ষা। সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে কাছে পাওয়ার প্রবল স্পৃহা! নরম বিছানায় কম্বলের মাঝে উষ্ণতার আধিপত্য! একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার অনবরত প্রচেষ্টা। এই ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশ যেন যৌনমিলনের ইচ্ছাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শীতকাল এলেই বাড়ে যৌন ইচ্ছা।
অনেকেই আছেন, শীতের সকালে শরীরকে গরম করতে লেপের তলায় সঙ্গীর সঙ্গে যৌনমিলনে লিপ্ত হতে চান। শীতকালেই যৌনমিলন অনেক বেশি আরামদায়ক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেমন এমনটা হয়, তা জানা আছে কি? জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞরা ঠিক কী বলছেন।
শীতকাল সঙ্গমের জন্য একদম উপযুক্ত, এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই শীত এলেই সঙ্গীর সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে ইচ্ছে করে। এর পিছনে দায়ী মেলাটোনিন হরমোন। এই হরমোন আবার পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এই টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধির অর্থ আপনার মাথায় ভিতর ঘুরপাক খায় যৌন চিন্তাভাবনা। আঁকড়ে ধরে সঙ্গীকে আরও বেশি করে কাছে পাওয়ার লিপ্সা।
এখানেই শেষ নয়, রয়েছে আরও একটি কারণ। শীতে তাপমাত্রার পারদ নামলে দেহে অক্সিটোসিন অর্থাৎ প্রেমের হরমোনের মাত্রা বাড়ে। তখন ইচ্ছে হয় সঙ্গীর আশেপাশে থাকার,ইচ্ছে হয় যৌন মিলনে লিপ্ত হওয়ার। বিশেষজ্ঞদের মতে, মেলাটোনিন ডোপামিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা মনকে ভাল রাখে এবং লিবিডো ও যৌন উত্তেজনা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে মেলাটোনিন ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা লিবিডো বাড়াতে সাহায্য করে।
তবে শুধু শারীরিক চাহিদা মেটানোই নয়, এমন শীতের মরশুমে যৌনতায় মেতে ওঠার উপকারিতাও রয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত সেক্সে শরীরে একপ্রকার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা সর্দি-কাশি রুখে দেয়। দিনভর কাজের চাপে শরীরে হতাশা, দুশ্চিন্তা জেঁকে বসে, যা এক নিমেষে কমে যায় সঙ্গমের পরে। সম্পর্কও একদম নতুনের মতোই থাকে। পাশাপাশি শীতে শরীরকেও গরম করে তোলে। মনেরও যত্ন নেয়।