শেষ আপডেট: 29th April 2024 16:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তাপমাত্রা সহনসীমা ছাড়িয়ে গেছে। খাস কলকাতার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। তাপপ্রবাহে নাজেহাল হতে হবে বাংলাকে। এই সময়ে রোদে বেশি না বেরোতেই পরামর্শ দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বা তার বেশি হলেই তা শরীরের পক্ষে সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করে যায়। তখন মূলত যে সমস্যাটা দেখা দেয় তা হল সানস্ট্রোক। অতিরিক্ত গরমে প্রায়ই ডিহাইড্রেশন বা শরীর জলশূন্য হয়ে পড়তে পারে। সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। শরীরে যে তরল প্রবেশ করছে তার তুলনায় বেশি তরল বেরিয়ে গেলে দেহে জলের অভাব হয়।তীব্র দাবদাহে ও আর্দ্রতাযুক্ত আবহাওয়ায় অনেক সময় যা ঘাম হয় তা শরীরকে ঠান্ডা করতে পারে না। তখনই সানস্ট্রোক হতে পারে।
এই দাবদাহে স্কুল বন্ধ থাকলেও অফিসকাছারি খোলা। রোজের কাজে বাইরে বেরোতেও হচ্ছে। কাঠফাটা রোদে রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থও হচ্ছেন অনেকে। এই সময় তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে কিছু নিয়ম মানার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা।
১) রাস্তায় বেরোলে সঙ্গে জলের বোতল রাখুন। হাঁটুন বা বাসে-ট্রামে চড়ে যান, মাঝে মাঝে জল খেতে থাকুন। জল ছাড়াও রাস্তায় ডাব দেখতে পেলে ডাবের জল কিনে খান।
২) দুপুর ১২টা থেকে ৩টের মধ্যে যতখানি সম্ভব অফিসের মধ্যে বা ছায়ায় কাজ করুন। শরীরিক অসুবিধা হচ্ছে, এমন সব কাজ এই সময় এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
৩) গাঢ় রঙের পোশাক এড়িয়ে চলুন। হালকা রঙের পোশাক, সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। রোদ থেকে মুখ বাঁচাতে টুপি, সানগ্লাস ও ছাতা ব্যবহার করুন। সুতির স্কার্ফ দিয়ে মাথা ও মুখ ঢেকে ফেলুন।
৪) জলশূন্যতা থেকে বাঁচতে, তেষ্টা না পেলেও জল খাওয়া জরুরি। দিনে কমপক্ষে তিন লিটার জল পান করা জরুরি।
৫) বাইরে থাকলে মাথা, ঘাড়ে, মুখে ভেজা কাপড় ব্যবহার করুন।
৬) হাই প্রোটিন, তেলেভাজা, ফাস্ট ফুড, যে কোনও রকম রঙিন জল এড়িয়ে চলুন।
৭) ঘাম হচ্ছে না, সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ছে বা অন্য কোনও রকম অস্বস্তি বোধ করলে নিজে থেকে ওষুধ খাবেন না। হিট-স্ট্রোকের সঙ্কেত অর্থাৎ জলশূন্যতা এবং তারপর হাত-পা টান ধরে অসুস্থ বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।