শেষ আপডেট: 23rd November 2024 18:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শীতে জ্বর, সর্দি-কাশি, বাতের ব্যথার সমস্যা লেগেই থাকে, এর পাশাপাশি কোনওভাবেই হৃদরোগের সম্ভাবনা উপেক্ষা করা যায় না। তাছাড়া শীত মানেই দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। ফলে এখন কম বয়সিদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাক দেখা যায়। আগে মানুষের ধারণা ছিল যে, ৬০-এর কোটা পূরণ হলেই হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা যায়। বিগত কয়েক বছরের লাইফস্টাইল এই ধারণা বদলে দিয়েছে। বরং এখন মানুষ ২০-এর কোটাতেই আক্রান্ত হচ্ছে হৃদরোগে।
প্রতি বছরই লক্ষ লক্ষ মানুষ হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যান। অনেকেরই ধারণা, শীতের মরসুমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি হয়ে যায়। তাই এই সময় হার্টের স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিশেষ পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই উচিত। যদিও এর পিছনে দায়ী অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল। যদিও কিছুটা সচেতনতা অভাবও রয়েছে। এর বাইরে শীতের সময়ও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে, যে কারণে ঠান্ডায় হার্টের যত্ন নেওয়ার কথা বার বার উল্লেখ করেন চিকিৎসকেরা।
শীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে কিছু লাইফস্টাইল টিপস মেনে চলা প্রয়োজন। সেগুলোই জেনে নেওয়া যাক। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্টকে নিরাপদ রাখতে শারীরিক ভাবে নিয়ম মেনে পরিমিত পরিশ্রম করা খুবই জরুরি। প্রতিদিন ৪০ মিনিটে ৪ কিলোমিটার হাঁটলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। তবে হৃদরোগীদের জিমে যাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কাজের জন্য বাইরে বেরনোর প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই নাক ঢেকে বেরনো উচিত। যত বেশি ধুলো শরীরে ঢুকবে, ততই তা শরীরের ক্ষতি করবে। তাই সুস্থ থাকতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলাই ভাল।
শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারলে সমস্যা অনেকটাই এড়ানো যায়। এই কারণে শীত পড়তে শুরু করলে গরম জামাকাপড় পরে বাইরে বেরোনো ভাল। কোনওভাবেই যেন সর্দি কাশি না লাগে, সেদিকেও নজর রাখা জরুরি। শীতের মরশুমে নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করানো উচিত। রক্তচাপ বাড়লে হৃদরোগের সম্ভাবনাও বাড়ে।
অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া থেকে হৃদযন্ত্রের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। খারাপ কোলেস্টেরল রয়েছে এমন তেল দিয়ে রান্না করা খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। এছাড়া ডায়েটের মধ্যে মরশুমি শাকসবজি, বেরি, গাজর, ব্রকলি ইত্যাদি রাখা যেতে পারে। এগুলি শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।
সুষম আহার খুব দরকার। শীতে মরশুমি সবজি ও ফল বেশি করে খান। এই সময় বাজারে পালং শাক, গাজর, ব্রকোলি, কমলালেবু, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেরি, আপেল ইত্যাদি ফল ও সবজি পাওয়া যায়। সেগুলো খেতে হবে। এছাড়াও গোটা শস্য ডায়েটে রাখতে হবে। জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।