শেষ আপডেট: 3rd November 2024 19:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জন্মের পরপরই অনেক শিশুর জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দেয়। বড়দের সঙ্গে সঙ্গে নবজাতকও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাদের শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি থাকলে জন্ডিস হতে পারে। এই রোগ হলে চোখ হলুদ পড়ে। সদ্যোজাতের জন্ডিস ধরা পড়লে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বাবা-মা।
শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, নবজাতকের শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি হয়ে জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দেয়। এই সমস্যা হলে শিশুর শরীর ও চোখ হলুদ হয়ে যায়। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ে। এসময় শিশুকে নীল আলোর নিচে রাখেন চিকিৎসকরা।
তাঁদের মতে, জন্মের তিন দিন পর থেকেই জন্ডিসের জটিল জটে জড়িয়ে পড়তে পারে শিশুরা। গা’টা হয়ে যায় একেবারে কাঁচা সোনার মতো হলদেটে। সেই হলুদ উঠে আসে তার ছোট্ট বেবি ফ্রকে, বালিশে। তার পাশ ঘিরে থাকা কাপড়চোপড়ে।
সদ্যোজাতের জন্ডিস হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, শিশু যত দিন মায়ের গর্ভে থাকে তত দিন মায়ের ধমনী থেকেই অক্সিজেন পায়। মায়ের শরীর থেকে গর্ভজাত শিশুর শরীরে অক্সিজেন বয়ে নিয়ে যায় লোহিত রক্তকণিকা।
শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে তার নিজের ফুসফুস কাজ করা শুরু করে দেয়। তখন অতিরিক্ত লোহিত কণিকগুলি ভাঙতে শুরু করে। সেগুলি ভাঙলে তার থেকে বিলিরুবিন নামের এক ধরনের হলুদ রঞ্জক নির্গত হয়। এই বিলিরুবিনের মাত্রা শরীরে বেশি হলেই জন্ডিস রোগ হয়। জন্মের তিন দিন পর থেকেই শিশু ধীরে ধীরে টের পেতে শুরু করে কাকে বলে জীবন যন্ত্রণা! এই রোগটির নাম- ‘সিভিয়ার নিওন্যাটাল হাইপারবিলিরুবিনেমিয়া’।
‘প্রিম্যাচিউরড বেবি’-দের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় বেশি থাকে। আবার সন্তানের রক্তের গ্রুপ মায়ের রক্তের গ্রুপের থেকে আলাদা হলেও এই রোগ হতে পারে। এবার প্রশ্ন হল কী দেখে বোঝা যাবে শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত? চিকিৎসকদের মতে, শিশুর ত্বক, চোখ হলদেটে হয়ে যাবে। শিশুর ত্বকে হালকা চাপ দিলেও যদি সেই স্থান হলদেটে হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত।
এখানেই শেষ নয়, সেই সঙ্গে নবজাতকের হাতে তালু বা পায়েও হলদেটে ছাপ দেখা যাবে। সেই সময় মা বাবাকে শিশুর প্রস্রাবের দিকেও নজর দিতে হবে। সেই রং যদি গাঢ় হলুদ হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।