শেষ আপডেট: 22nd October 2024 18:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এমন সতর্কীকরণ থাকা সত্ত্বেও সুখটান নিতে পিছপা হন না অনেকেই। শরীরের বারোটা বাজবে, এমনটা জেনেও দিনের পর দিন এই বদঅভ্যেসে সামিল করে রাখেন। কিন্তু যদি এমনটা হত, সুখটান দিলেও শরীরে তার কোনও খাবার প্রভাব পড়ত না। তাহলে?
তা হলে বোধহয় সুখটান সত্যিই সুখের হত। এমন কোনও সিগারেট কি বানানো যেতে পারে না, যা ঠোঁটে ঠেকিয়ে দু-একটা টান নিলেও কোনও রোগই শরীরে বাসা বাঁধবে না। এই নিয়েই বহু যুগ ধরেই চলেছে বিভিন্ন গবেষণা। এমনকি অনেক সিগারেট নির্মাতারাই চেষ্টা করেছিলেন এই 'স্বাস্থ্যকর সিগারেট' বাজারে আনার। কিন্তু সফল হননি কেউই।
আবার অন্য দিকে বহু সংস্থাই জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যকর সিগারেট তৈরির চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তারাও কোথাও না কোথাও ব্যর্থ হয়েছেন। ষাটের দশকেই স্বাস্থ্যকর সিগারেট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এক সংস্থা। ১৯৬৬ সালে এক ধরনের স্বাস্থ্যকর সিগারেট বানিয়েছিল ‘ব্রাউন অ্যান্ড উইলিয়ামসন টোব্যাকো কর্প’ নামে একটি সংস্থা।
সেই সিগারেটের নাম রাখা হয়েছিল ‘এরিয়েল’। ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালে ওই স্বাস্থ্যকর সিগারেট তৈরি করা হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গিয়েছিল সেই সিগারেটে টান নিলেও শরীরে পড়ছে না কোনও ক্ষতিকর প্রভাব। তবে ওই সিগারেট বাজারে আত্মপ্রকাশ করেনি। তাই মানুষের কাছে পরিচিতি না পাওয়ায় ব্যর্থ হয়েছিল চেষ্টা।
সেই সিগারেট 'স্বাস্থ্যকর' কীভাবে?
‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’-এর তথ্য অনুযায়ী, স্বাস্থ্যকর সিগারেট তৈরির জন্য সিগারেটের আসল উপাদানই বাদ দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ তামাকের ব্যবহারই করা হয়নি এই সিগারেটে। ধূমপানের কারণে ক্যানসার যাতে না হয়, সেই ভাবনা নিয়ে সিগারেট তৈরি করেছিল সংস্থাটি।
সুখটান দিতে পারেননি কেউই
চেষ্টা চালিয়ে সফল হলেও অবশেষে সেই 'স্বাস্থ্যকর সিগারেট' বাজারে আনেনি সংস্থা। কিন্তু কারণটা কী? তথ্য অনুযায়ী, ওই সংস্থার আরও অনেক জিনিস বাজারে ছিল। সেই মুহূর্তে বাজারে 'স্বাস্থ্যকর সিগারেট' আনলেই বাকি সামগ্রীর বিক্রি এক ধাক্কায় কমে যেত। তাই এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই পিছপা হয়েছিল সংস্থাটি। কিন্তু জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তারপর থেকে আরও অনেক সংস্থাই এই চেষ্টায় সফল হতে চেয়েছিল। অবশেষে কেউই পারেনি।