শেষ আপডেট: 30th September 2023 21:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘অন্ধকার বিদিশার নিশা’র মতো চুল এখন রয়েছে শুধু জীবনানন্দের কবিতার পাতায়। আজকের ছুটে চলা দৈনন্দিন যাপনে চুলের যত্ন নেওয়ার সময় নেই। চুল হচ্ছে রুক্ষ। এক মাথা ঘন, উজ্জ্বল ঢেউ খেলানো চুলের বদলে যেন রুক্ষ জটা শনের মতো উড়ছে। অনেকের আবার মাথার সামনে হাল্কা টাক উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। বিজ্ঞাপন দেখে তেল-শ্যাম্পু-কন্ডিশনার লাগিয়েও তেমন লাভ হচ্ছে না। তাহলে কী করণীয়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এক মাথা ঝলমলে চুলের ঢেউ খেলাতে চান তাহলে বাজারচলতি শ্যাম্পু, কন্ডিশনারে কাজ হবে না। বরং প্রাকৃতিক উপাদানেই চুল হবে নরম, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। একটি খাবার যদি রোজ ডায়েটে রাখেন, তাহলেই একেবারে ফিল্মস্টারদের মতো ঢেউ খেলানো চুল হবে।
চুল ওঠার সমস্যা নিয়ে নাজেহাল আট থেকে আশি। চুল উঠতে উঠতে অনেক সময় টাক পড়ে যায়। তাই চুল পাতলা হতে শুরু করলেই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করে অনেক কিছুই।
চুল ভাল রাখতে আখরোটের জুড়ি মেলা ভার। ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ আখরোট চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। আখরোট নিয়মিত খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়, অকালপক্কতা দূর হয়। চুলের রুক্ষভাবও দূর হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোজকার খাবারে যদি প্রোটিন যথাযথ না থাকে, চুল কিন্তু গোড়া থেকে দুর্বল হবেই। তাই মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার ডায়েটে থাকাটা জরুরি। নিরামিষাশী হলে চানা, ছোলা ও নানারকম বাদাম খাবেন। দ্বিতীয় প্রয়োজনীয় উপাদান হল আয়রন। আপনার সামান্য অ্যানিমিক প্রবণতা থাকলেও তা চুলে প্রভাব ফেলবে। সেটা মনে রাখবেন। রেড মিট, চিকেন, মাছে প্রচুর আয়রন থাকে। যাঁরা এগুলো খান না, তাঁরা অবশ্যই নানারকম ডাল, পালং শাক, ব্রকোলি, ও সবুজ শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খাবেন। আর সেই সঙ্গেই দরকার আখরোট।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আপনার স্ক্যাল্প ও চুল হাইড্রেটেড রাখে, শুষ্ক হতে দেয় না। অতএব বুঝতেই পারছেন এটি আপনার শাইনি হেয়ারের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই আখরোট ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। তাছাড়া আখরোটে আছে কেরাটিন ও ভিটামিন বি৭ যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আখরোটে সেলেনিয়াম, আয়রন, কপার ও জিঙ্ক আছে যা চুলের গোড়া মজবুত করে। স্ক্যাল্প প্রোটেকশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল হল জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। শরীরে জিঙ্কের অভাব হলে কিন্তু চুল পড়ে যায়, সেটাও মাথায় রাখবেন। আখরোটে আছে পটাশিয়াম, ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স ও ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সব উপাদান হেয়ার ফলিকলকে মজবুত করে। চুল হয়ে ওঠে লম্বা, উজ্জ্বল, মজবুত।