শেষ আপডেট: 12th December 2024 19:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২৪ সালে এসে ওজন কমানো নিয়ে বহু মানুষই খুব উৎসাহি। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অনেকেই সঠিক ডায়েট মেনে ওজন কমান না। ফলে দেখা দেয় দুর্বলতা ও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য থেকে শুরু করে চটকদার ডায়েট, অনেকেই বুঝতে পারেন না কীভাবে ওজন কমাবেন। আসলে ওজন কমানোর ডায়েটের পেছনের বৈজ্ঞানিক দিকগুলো বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেখে নেওয়া যাক ২০২৪ সালের ৫টি সেরা এবং ৫টি সবচেয়ে ক্ষতিকর ডায়েট।
২০২৪ সালের সেরা ৫টি ওজন কমানোর ডায়েট:
১. মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট
ফল, শাকসবজি, হোল গ্রেইন, এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের ওপর জোর দেওয়া এই ডায়েটটি সবসময়ই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। খাবারে থাকে অলিভ অয়েল, বাদাম এবং মাঝেমধ্যে মাছ বা মাংস।
২. ড্যাশ ডায়েট
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য তৈরি এই ডায়েটটি কম-লবণযুক্ত এবং পুষ্টিকর খাবার, যেমন-শাক সবজি, ফল এবং প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এর সুষম ডায়েট পদ্ধতি ওজন কমানোর জন্য খুব ভাল বলে মনে করা হয়।
৩. ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং
এই পদ্ধতিতে খাওয়ার সময় এবং উপবাসের সময়ের মধ্যে সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ে ক্যালোরি খেলে শরীরে তা মেটাবলিজম বাড়ায় এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তবে এটি সফল করতে খাওয়ার সময় অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার প্রবণতা এড়াতে হবে।
৪. ফ্লেক্সিটারিয়ান ডায়েট
এই ডায়েটে নিরামিষাশী খাবারের সঙ্গে মাঝে মাঝে মাংস খাওয়া হয়। এতে শাক- সবজির মতো খাবারের ওপর জোর দেয়। ফাইবারে সমৃদ্ধ এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকার কারণে এটি ওজন কমাতে এবং অন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৫. ভারতীয় সুষম ডায়েট
ডাল, রুটি, সবজি এবং ভাতের ওপর ভিত্তি করে এই ডায়েটটি তৈরি করা হয়েছে। সঠিক পরিমাণে খাবার খাওয়ার নিয়ম মেনে চলতে হয়। হলুদ, জিরার মতো স্থানীয় মসলার ব্যবহার মেটাবলিজম এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায়, যা ওজন কমাতে সহায়ক।
২০২৪ সালের সবচেয়ে খারাপ ৫টি ওজন কমানোর ডায়েট
১. কার্নিভোর ডায়েট
এই ডায়েটে শুধুমাত্র মাছ, মাংস খাওয়া হয়। ফলে ডায়েট থেকে শাকসবজির মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান বাদ থাকে। এতে শরীরে কোনওরকম ফাইবার ঢোকে না। দীর্ঘদিন ধরে এমন ডায়েট করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনি সমস্যা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
২. জুস ক্লেনজ ডায়েট
এতে শুধু মাত্র কিছু তরল খাবার থাকে। আর এই তরল খাবারের ডায়েটগুলি জনপ্রিয় হলেও, এগুলি প্রোটিন এবং ফ্যাটের অভাবে শরীরকে দুর্বল করে, যার ফলে পেশি কমে যাওয়া এবং পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে।
৩. র ফুড ডায়েট
এই ডায়েটটিতে শুধু অপরিপক্ক খাবার খাওয়া যায়, যার ফলে মাংস এবং শস্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য বাদ পড়ে। সে সব খাবারের ফলে ক্লান্তি এবং পুষ্টির অভাব সৃষ্টি হতে পারে।
৪. এইচসিজি ডায়েট
হরমোন ইনজেকশন এবং অত্যন্ত কম ক্যালোরি গ্রহণের মাধ্যমে করা এই ডায়েটটি নিরাপদ বা কার্যকরী নয়। তাছাড়া এই ডায়েট নিয়ে বেশ কিছু বিতর্কও রয়েছে। এই ডায়েটের ফলে শরীরে ক্লান্তি এবং পুষ্টির অভাব দেখা দেয়।
৫. ক্যাবেজ স্যুপ ডায়েট
এক সপ্তাহ ধরে শুধু ক্যাবেজ স্যুপ খেয়ে যেতে হয় এই ডায়েটে। এতে হয়তো খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমে। কিন্তু এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে এই ডায়েট এড়িয়ে চলতেই বলেন পুষ্টিবাদরা।