শেষ আপডেট: 30th September 2023 13:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ছিল ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে’। গত কয়েক বছরে যেভাবে ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেড়েছে, তাতে হার্টের খেয়াল রাখতে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন বেড়েছে বৈকি! শুক্রবার এই নিয়েই ডাক্তাররা সাধারণ মানুষকে হৃদরোগ প্রতিরোধের বেশ কিছু উপায় সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। যার মধ্যে অন্যতম হল, নিয়মিত হার্টের পরীক্ষা করানো। কোভিড পরবর্তী সময়ে জীবনযাত্রায় বদল, মানসিক চাপ-সহ সমস্ত কিছুই হার্টের সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে, বলছেন চিকিৎসকরা।
এই প্রসঙ্গে সিনিয়র কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ রঞ্জন শর্মার দাবি, হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সবার আগে এই অসুখের কারণ জানা দরকার। তারপর জানতে হবে কীভাবে এই রোগ প্রতিরোধ করা যাবে। যদি সবাই এগুলো জানে এবং বুঝতে পারে, তাহলেই হৃদরোগ অনেকটাই দূর করা সম্ভব। ভারতের মতো দেশে পোস্ট কোভিড যুগে হৃদরোগ বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের প্রকোপও বাড়ছে, যার ফলে আকস্মিক কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
তবে ভারতে গত কয়েকবছরে দেখা গিয়েছে কম বয়সিদের মধ্যে হার্টের অসুখ সবথেকে বেশি হচ্ছে। এমনকী শিশুরাও বাদ যাচ্ছে না। এটা হওয়ার কারণ কী? চিকিৎসকরা বলছেন, এর জন্য মূলত দায়ী কোভিড বা করোনা ভাইরাসই। কারণ, এই ভাইরাসটি রক্তনালীতে পরিবর্তন আনে, যা ধমনীকে শক্ত করে এবং রক্তের জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। আর এই কারণেই যে কোনও সময় হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন যে কেউ। দেখা যাচ্ছে, বিগত ২-৩ বছরে তরুণ এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের মধ্যেই হৃদরোগ ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর থেকে বাঁচার উপায় একমাত্র এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা। যেমন, খাওয়া-দাওয়ায় পরিবর্তন, নিয়মিত ব্যায়াম-সহ নানা কিছু। শুধু স্কুল বা কলেজে নয়, কাজের জায়গাতেও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের বিষয়ে সবাইকে শিক্ষিত করতে হবে। স্ট্রেস কমানোর পাশাপাশি উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের তরফে। কিন্তু কোভিডই একমাত্র কারণ নয়। যে কোনও বিষয়ে মানসিক চাপ এবং অপরিমিত ঘুমও এর জন্য দায়ী।