শেষ আপডেট: 10 November 2023 15:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বার্থ কন্ট্রোল পিলের অনেক রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। ঘন ঘন গর্ভনিরোধক পিল খেলে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে কিনা, সে নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। বিশেষত, যে সমস্ত মহিলারা হাইপোথাইরয়েডিজমের চিকিৎসায় আছেন, আবার বার্থ কন্ট্রোল পিলও খাচ্ছেন, তাঁদের ভয়ের কারণ আছে। আবার বেশি পিল খেলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মুঠো মুঠো বার্থ কন্ট্রোল পিল খেলে ব্রেনের ক্ষতি হয়। নানারকম মানসিক রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
পরিকল্পনা ছাড়া সন্তানধারণের ঝুঁকি এড়াতে অনেক মহিলাই ভরসা রাখেন গর্ভনিরোধক বড়ির উপরে। অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শে এই ধরনের ওষুধ খান। কোনও ক্ষেত্রে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই নিজের হয়। অত্যধিক হারে গর্ভনিরোধক ওষুধ নানারকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, নিয়মিত বার্থ কন্ট্রোল পিল খেতে থাকলে মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। বার্থ কন্ট্রোল পিল মানেই কৃত্রিম সেক্স হরমোন ঢোকে শরীরে। ফলে তা অন্যান্য হরমোনগুলির কাজকে ব্যাহত করতে পারে। গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে। (Central Nervous System)।
অনেক মহিলাই প্রতিবার সঙ্গমের পরে মুড়িমুড়কির মতো বার্থ কন্ট্রোল পিল খেয়ে ফেলেন। ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে যে কোনও ব্র্যান্ডের গর্ভনিরোধক পিল খান অনেকেই। দেখা গেছে, এই ধরনের ওষুধ হরমোনের ওপর প্রভাব ফেল। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে দিতে পারে।
অনিচ্ছাকৃত সন্তানধারণ আটকানোর এই ওষুধ নিয়মিত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার একটা ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে যাঁদের ওজন একটু বেশির দিকে, তাঁদের চেহারা আরও ভারী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়ায় চোখের সমস্যা দেখা দেয়। রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। ফলে মেয়েদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত গর্ভনিরোধক বড়ি খেলে ব্লাড ক্লট হতে শুরু করে। জমাট বাঁধা রক্ত মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহে বাধা তৈরি করে। যার জন্য স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। ব্রেনেরও ক্ষতি হয়। এর জন্য পিলে উচ্চমাত্রায় থাকা 'এস্ট্রাডিওল' উপাদানকে দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা
পিল খাওয়ার কী নিয়ম আছে?
কন্ট্রাসেপটিভ পিল (Contraceptive Pills) খাওয়ার নিয়ম আছে। আগেই বলা হয়েছে, কম্বাইনড পিল মানে যাতে ইস্ট্রোজেন ও প্রজোস্টেরন দুটোই আছে সেগুলি তিন সপ্তাহ মানে ২১ দিন ধরে টানা খেতে হবে। সেক্ষেত্রে একটা নির্ধারিত সময় ধরে ওষুধ খাওয়াই ভাল। ধরুন, যদি রোজ রাতে খাওয়ার পরে ১০টা নাগাদ পিল খান, তাহলে সেই সময়টাই ধরে রাখবেন। এক থেকে দেড় ঘণ্টা এদিক ওদিক হতে পারে, তার বেশি নয়। যদি কোনওদিন ভুলে যান পিল খেতে বা কোনও কারণে মিস হয়, তাহলে ১১ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কম্বাইনড পিল ২১ দিনের ব্যবধানে খাওয়ার পরে পিরিয়ডস শুরু হবে।
এমার্জেন্সি পিল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেতে হবে, খুব বেশি হলে পাঁচ দিনের মধ্যে খাওয়ার পিলও আছে।
বার্থ কন্ট্রোল পিল (Contraceptive Pills) খেতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই খাওয়া উচিত, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রক্তে টিএসএইচের মাত্রা কতটা, এফটি-ফোর, অ্যান্টি টিপিও অ্যান্টিবডি, ইমিউনোগ্লোবিউলিন ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়ে নিলে আরও ভাল হয়।