শেষ আপডেট: 4th December 2024 18:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রোজ সকালে এক মুঠো ছোলা খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। অনেকে আবার সন্ধের টিফিনে ছোলা খান। কাঁচা ছোলা হোক বা ভাজা ছোলা, পুষ্টিগুণে কিন্তু তেমন তফাৎ খুব একটা হয় না। আর যারা ছোলা দেখলেই নাক সিঁটকোন, তারা এই উপকারিতা জানলে চমকে যাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় রয়েছে ৩৭২ কিলোক্যালোরি। প্রোটিন পাওয়া যায় ৬০ গ্রাম আর ফ্যাট পাওয়া যায় ৫.৬। এ ছাড়া ছোলা ফাইবারে ভরপুর।
এখানে সব সময়ই একটা সাধারণ প্রশ্ন থেকেই যায়। তা হল কাঁচা ছোলা নাকি সেদ্ধ? কোনটায় উপকার বেশি? তারই উত্তর জেনে নেওয়া যাক। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোলার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিনারেল। যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও জিঙ্ক। যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তাঁদের ছোলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সেক্ষেত্রে কাঁচা হোক কিংবা সেদ্ধ, স্বাদের তফাৎ হলেও পুষ্টিগুণে বিরাট কোনও পার্থক্য থাকে না বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা। তবে সেক্ষেত্রে কীভাবে ছোলা সেদ্ধ করা হচ্ছে, সেদিকেও নজর দেওয়া খুব দরকার। তাঁদের মতে, খুব কম জলে ছোলা সেদ্ধ করতে হবে। যাতে সেদ্ধ করার পরে জল অবশিষ্ট না থাকে। জল ফেলে দিলে পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়।
যদি কাঁচা ছোলা খেতে পছন্দ করেন, তবে রোজের তালিকায় একটু করে রাখা যেতেই পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, ছোলায় ফ্যাট নেই বললেই চলে। যতটুকু রয়েছে তা হল ফ্যাট। যা আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই হার্টের রোগীদের খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ছোলা খেতে পারবেন। কারণ এতে রয়েছে উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবারের তালিকায় রয়েছে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশি উপকারী।
এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও একটি দুর্দান্ত খাবার। আপনি যদি উচ্চ প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস পছন্দ করেন, তাহলে এই খাবারটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিতেই পারেন। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁদের জন্য ছোলা সুপারফুড, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তাই রুটিনে রাখতেই পারেন কাঁচা ছোলা বা ভাজা ছোলা।