শেষ আপডেট: 2nd December 2024 13:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘মোটা হয়ে গেছো’—এই উৎসবের মরশুমে পরিবার-পরিজন বা বন্ধুবান্ধবদের জমায়েতে গেলেই এই কথাটা শুনতে হওয়া লোকজনের সংখ্যা যেন ক্রমেই বাড়ছে। বেশিরভাগ মানুষ যদিও বিষয়টিকে ‘দেখতে ভাল লাগা বা না লাগা’র মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন, কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা আদতে অনেক গভীর। সে জন্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে (Weight Loss) রাখা জরুরি।
বেড়ে যাওয়া ওজন কমানোর জন্য সাধারণত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং শারীরিক ব্যায়ামকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে ধরা হয়। তবে, ব্যস্ত জীবনযাত্রা এবং অন্যান্য কারণের জন্য সবার পক্ষে নিয়মিত ব্যায়াম করা সম্ভব হয় না।
এমন পরিস্থিতিতে, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এবং জীবনযাত্রার কিছু সহজ পরিবর্তনের মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সম্প্রতি অভিনেত্রী হিমাংশী খুরানা, যিনি নিজে তাঁর ফিটনেস জার্নির জন্য পরিচিত, তিনি এই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন কীভাবে ১১ কেজি ওজন ব্যায়াম না করেই কমিয়ে ফেললেন তিনি।
খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব
অভিনেত্রী হিমাংশী খুরানা তাঁর সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, ব্যায়াম না করেও তিনি তাঁর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর মতে, খাদ্যাভ্যাসে ছোট ছোট পরিবর্তন এবং কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমেই এই ফলাফল সম্ভব।
১. সুগার এবং কার্বোহাইড্রেট নিয়ন্ত্রণ
প্রক্রিয়াজাত চিনি এবং উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার বর্জন ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। হিমাংশী বলেন, ‘চিনি বর্জন করলেই দ্রুত চেহারার পরিবর্তন দেখতে পাবেন।’
২. হাইড্রেশন এবং ঘুম
পর্যাপ্ত জল খাওয়া এবং ৭-৮ ঘণ্টার গভীর ঘুম ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম কম হলে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, যা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতাকেও বাড়ায়।
পুষ্টিবিদের মতামত
১. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি, ফল, এবং বাদামজাতীয় খাবার খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং খিদে কমে।
২. অল্প করে খাবার খাওয়া: ছোট ছোট বিরতিতে অল্প পরিমাণ খাবার বারেবারে খাওয়ার অভ্যাস মেটাবলিজমকে ত্বরান্বিত করে।
৩. মশলাযুক্ত খাবার: লঙ্কা, আদা, হলুদ, এবং দারচিনির মতো মশলা মেটাবলিজম বাড়াতে এবং ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে।
৪. মাইন্ডফুল ইটিং: খাওয়ার সময় মনোযোগ দেওয়া, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়া এবং খাবারের গুণগত মান সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৫. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: মানসিক চাপ ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাই মেডিটেশন বা রিলাক্সেশনের পদ্ধতিগুলো কাজে লাগানো প্রয়োজন।
ব্যায়াম ছাড়া ফিটনেস রুটিন
হিমাংশী খুরানা আরও উল্লেখ করেন, নিয়মিত হাঁটা এবং হালকা অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমেও ওজন কমানো সম্ভব। এমনকি বাড়িতে সহজ কিছু শারীরিক কাজ করেও ওজন কমানো যায়।
এই পরামর্শগুলো ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদী ও সঠিক ফলাফলের জন্য পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।