শেষ আপডেট: 3rd December 2024 20:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সহজপাচ্য, সস্তা ও পুষ্টিকর ফল হিসেবে কলা অতুলনীয়। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও ক্রনিক অসুখ দূর করে কলার ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য। কলার নরম পাল্পের জন্য শিশু ও বয়স্ক দুজনের ডায়েটেই আদর্শ। তবে ডায়াবিটিস রোগী মানেই কলা থেকে শতহস্ত দূরে। শুধু ডায়াবিটিস রোগী নয়, ডায়াবিটিস হতে পারে এরকম ব্যক্তিকে কলা খেতে বারণ করা হয়। কারণ কলা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যাভাসের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হয়। সে যে খাবারই হোক না কেন, একটু ক্যালোরি বেশি থাকলেই নয় তা খাওয়া বারণ। আর নয় কম পরিমাণে খেতে হয়। অনেকের মনেই এই প্রশ্ন থাকে, ডায়াবেটিস রোগীদের কি আদৌ কলা খাওয়া উচিত? তারই উত্তর জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমেই জানতে হবে, পাকা কলার পাশাপাশি কাঁচা কলার উপকারিতাও অনেক। যা বিভিন্ন সবজি রান্নাতে ও কোফতা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। কলা এমন একটি ফল যাতে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ফাইবারের মতো পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আর এই সব কিছুই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
কাঁচা কলা ডায়াবেটিক ও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব বেশি সমস্যার নয়। বরং এই ধরনের কলায় থাকে ‘রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ যা ক্ষুদ্রান্ত্রে দ্রুত পাচিত হয় না। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে শর্করার বিপাক। পাশাপাশি পেটের গন্ডগোল সামলাতেও কাঁচকলা কাজে আসতে পারে। এদিকে আবার পাকা কলাতে থাকে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬। কিন্তু পাকা কলাতে কিছু প্রাকৃতিক ‘সুইটনার’ থাকে। তাই এই ধরনের কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
চিকিৎসা গবেষণায় বলা হয়েছে, ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ঐতিহ্যবাহী ওষুধ হিসেবেও কলা ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া কলার কাণ্ড ও ফুলও ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে উপকারী। কলা ফাইবারের একটি ভাল উৎস, যা হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। এতে থাকা ভিটামিন সি আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং পটাসিয়াম হার্টের খেয়াল রাখে।
কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পুরোপুরি কলা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু আদপে তা ঠিক নয়। কলায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার পাওয়া যায়, এটি মাঝে মাঝে খেলে কোনও ক্ষতি নেই। তাবে ডায়েট থেকে একেবারে বাদ দিয়ে না দেওয়াই ভাল।