শেষ আপডেট: 7th December 2024 23:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভীষণ স্বাস্থ্য সচেতন মানুষও প্রতিদিন এমন কিছু ভুল করে বসেন, যার ফলে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরিয়েও কোনও লাভ হয় না। শুধু শরীরচর্চা করে স্বাস্থ্যের হাল ফেরানো সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি ডায়েটেও জোর দিতে হবে। নাহলে শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকবে। রোজের রুটিনে রাখতে হবে বিশেষ কিছু ফল। জিম করে ফিরে খেলেই শরীরে এনার্জি চলে আসবে। ফলগুলিতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খনি।
রোজ ডায়েটে এই ফলগুলি খেলে এক্সারসাইজ় করার পর কেটে যাবে সমস্ত ক্লান্তি। এর পাশাপাশি পেশির জোরও বাড়ে। এদিকে আবার ডায়েটে থাকা মানেই বেশি করে ফল খেতে হবে, বিষয়টিকে তেমন ভাবে নিলে চলবে না। ডায়েট না করলেও কিন্তু রোজ নিয়ম করে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। দেখে নেওয়া যাক কোন চারটি ফল রোজের রুটিনে রাখতে হবে।
জিম থেকে ফিরে একটা কলা খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ফল জিম করার আগে এবং পরে খাওয়া যেতে পারে। এতে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট শরীরকে এনার্জি দেয়। যার ফলে কেটে যায় ক্লান্তি। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম। তা রক্তনালীকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবিটিস থাকলে আবার বেশি কলা খাওয়া ঠিক নয়।
ওয়ার্কআউট করার পর পেশিকে ঠিক রাখতে আঙুর খাওয়ার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। এই ফল শুধু স্বাদে নয়, গুণেও সেরার সেরা। এতে উপস্থিত রয়েছে রেসভেরাট্রল নামক একটি অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান। এছাড়া আঙুরে রয়েছে প্রাকৃতিক সুগার। আর এই উপাদান এনার্জি বুস্ট করে। ফলে এই ফলটিকে ভুললে চলবে না।
জিম করার পর অনায়াসে একটা আপেল খাওয়া যেতে পারে। রোজ খেলেও কোনও সমস্যা নেই। পুষ্টিবিদরা সব সময়ই এই ফল রোজের ডায়েটে রাখতে বলেন। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম। তাই আপেল খেলে চট করে সুগার বাড়ে না। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে আপেল।
শরীর থেকে ক্লান্তি দূর করতে চাইলে জিম থেকে ফিরে বেরি জাতীয় ফল খাওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, মহৌষধির সমান হল বেরি জাতীয় ফল। বিশেষত, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরির মতো ফল খেলে উপকার মেলে বেশি। এই ধরনের ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।