শেষ আপডেট: 6th December 2024 15:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শীত পড়েছে, ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি এসেছে এর হাত ধরে। ছোট থেকে বড়, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এই সময় সর্দি-কাশিতে ভোগে প্রায় সকলে। যাঁরা বার বার ওষুধ খেতে চান না, তাঁরা বাড়িতে থাকা এই সব উপাদানের সাহায্যেই সেরে উঠতে পারেন। টুক করে দেখে নিন জ্বরের ঘরোয়া দাওয়াই।
আদা
এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে। যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। গলায় ব্যথা, চুলকানি, সর্দি থাকলে সঙ্গে শরীরের কোথাও জ্বালাভাব থাকলে তা কমাতে সাহায্য করে এই সবজি। জলে সারা রাত ভিজিয়ে সকালে উঠে সেই জল একটু ফুটিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বা জলে আদা দিয়ে ফুটিয়ে গরম গরম পান করা যেতে পারে।
মধু
খুশখুশে কাশি থাকলে, মধু হল তার জম। গরম জলে মধু মিশিয়ে পান করলে কাশি কমতে পারে, গলায় অস্বস্তি ভাবও কমে যায়।
হলুদ
এতে কারকিউমিন থাকে, যা অ্যান্টি ব্যাক্টোরিয়াল হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান সর্দি-কাশি সারিয়ে তোলে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গরম দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার মিলবে।
গরম জলের ভাপ
জ্বর-সর্দি হলে কান-নাক বন্ধ হয়ে যায় অনেকের। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় এর ফলে। গরম জলের ভাপ নিলে এই সময় উপশম মিলতে পারে। জলে ইউক্যালিপ্টাস অয়েল মিশিয়ে দিলে আরও ভাল।
নুন জল দিয়ে গার্গেল
নুন জল গলার ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে, ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে ও মিউকাস তরল করে। জলে সামান্য নুন দিয়ে ফুটিয়ে ৩০ সেকেন্ড গার্গেল করলে কাশি, গলা ব্যথা কমতে পারে।
লেবু-মধু
লেবু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করে। হালকা গরম জলে লেবুর রস দিয়ে মধু মিশিয়ে খেলে সর্দি কমতে পারে, কাশিও কমে যায়। জলের বদলে চায়ের সঙ্গেও লেবু ও মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
রসুন
ঠান্ডা লাগলে আজও মা-ঠাকুমারা রসুন তেল দিয়ে মালিশ করে থাকে। ঠান্ডা লেগে কানে ব্যথা হলেও রসুন ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। আসলে রসুনে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান রয়েছে। যা সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে। চায়ে রসুন দিয়ে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে খাওয়া যেতে পারে। রসুন দিয়ে কিছু বেটেও খাওয়া যেতে পারে।