শেষ আপডেট: 15th February 2025 18:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একবার মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে নাওয়া-খাওয়া ভুলে যেতে হয়। মাথা যেন দপদপ করতে থাকে প্রতিটি মুহূর্তে। ওঠা-বসা তো দূরের কথা, স্বাভাবিক জীবনযাপনও হয়ে ওঠে কষ্টকর। নিয়মিত মাথা ব্যথা স্বাস্থ্যের জন্য কখনওই ভাল লক্ষণ নয়।
অনেক ক্ষেত্রেই মাইগ্রেন বংশগত কারণে হতে পারে। পরিবারের কারও যদি এই সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে আপনিও এর ঝুঁকিতে থাকতে পারেন। মস্তিষ্কের 'ট্রাইজেমিনাল নার্ভ' উত্তেজিত হলে বা ‘সেরেটোনিন’ নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে এই ব্যথার তীব্রতা বাড়তে পারে। যদিও একবার শুরু হলে মাইগ্রেনের ব্যথা সহজে কমে না, তবে কিছু সতর্কতা মেনে চললে এই যন্ত্রণা এড়ানো সম্ভব। বিশেষ করে কিছু নির্দিষ্ট খাবার পরিহার করলেই ব্যথার প্রকোপ অনেকটাই কমতে পারে।
যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন:
চকোলেট: চকোলেটে থাকা ক্যাফেইন এবং ট্যানিন জাতীয় উপাদান মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই চকোলেটজাতীয় খাবার ও পানীয় যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
অতিরিক্ত নুন: নুনে থাকা সোডিয়াম শুধু মাইগ্রেন নয়, উচ্চ রক্তচাপ ও ক্লান্তির কারণও হতে পারে। সরাসরি নুন খাওয়া যেমন ক্ষতিকর, তেমনই অতিরিক্ত নুনযুক্ত খাবারও মাইগ্রেন বাড়িয়ে দিতে পারে।
অ্যালকোহল: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাইগ্রেনে আক্রান্ত প্রায় ৩৫% মানুষ অতিরিক্ত মদ্যপান করেন। বিশেষ করে রেড ওয়াইন মাইগ্রেনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার: অতিরিক্ত চিনি মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই মিষ্টি, সফট ড্রিংকস বা চিনি সমৃদ্ধ খাবার যতটা সম্ভব কমিয়ে দিন।
ক্যাফেইন: কফি বা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় বেশি পরিমাণে খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই নিয়মিত অতিরিক্ত কফি পান করা উচিত নয়। মাইগ্রেনের ব্যথা একবার শুরু হলে সামলানো সত্যিই অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই আগেভাগেই সতর্ক থাকুন এবং খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিন। সকালে হালকা ব্যায়াম করুন, এটি মাইগ্রেনের ঝুঁকি কমাতে পারে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং জেগে ওঠার অভ্যাস করুন। যদি বারবার মাইগ্রেনের সমস্যা বা মাথাব্যথা হয় তা হলে ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।