শেষ আপডেট: 6th December 2024 13:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোলেস্টেরল বেশি থাকলে শরীরের ঝুঁকি অবধারিত। হৃদরোগ থেকে শুরু করে স্ট্রোক, সেই সঙ্গে অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার অন্যতম কারণ এই কোলেস্টেরল (10 Remedies for High Cholesterol)। এই সমস্যার সমাধানে চিকিৎসকরা সাধারণত স্ট্যাটিন জাতীয় ওষুধের পরামর্শ দেন। তবে অনেকেই প্রাকৃতিক উপায়ে কোলেস্টেরল কমাতেও আগ্রহী হল।
গবেষণা বলছে, জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এবং ঘরোয়া উপায় মেনে চললে ওষুধ ছাড়াই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে। এই ১০টি কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে (তথ্যসূত্র: The Healthsite)।
১. খাবারে গুড ফ্যাট বাড়ান
অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল এবং বাদামের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খেলে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমে। এগুলি শরীরের কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রেখে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
২. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান
শস্য, ডাল, ফল এবং শাকসবজিতে থাকা ফাইবার বা আঁশ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এগুলি কোলেস্টেরলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীর থেকে বের করে দেয়। প্রতিদিন অন্তত ২৫-৩০ গ্রাম ফাইবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
স্যামন এবং ম্যাকারেল জাতীয় ফ্যাটযুক্ত সামুদ্রিক মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাল উৎস। এগুলি ট্রাইগ্লিসারাইড কমায় এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়। সাপ্তাহে অন্তত দু’দিন এই মাছ খাবেন।
৪. রসুন ব্যবহার করুন রান্নায়
রসুনের প্রাকৃতিক উপাদান কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর। নিয়মিত রসুন খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায় এবং ধমনীতে প্ল্যাক জমা আটকায়।
৫. গ্রিন টি পান করুন
গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যাটেচিন LDL কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদযন্ত্রের উপকার করে। প্রতিদিন কয়েক কাপ গ্রিন টি পান করুন।
৬. পর্যাপ্ত জল খেতে হবে
শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে এবং শরীর থেকে কোলেস্টেরল বের করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস জল পান করুন।
৭. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম ভাল কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায়। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি ব্যায়াম, যেমন হাঁটা বা সাইক্লিং করার চেষ্টা করুন।
৮. ওজন বাড়তে দেবেন না
অতিরিক্ত ওজন কোলেস্টেরল বাড়ায়। শরীরের ওজনের মাত্র ৫-১০% কমালেও কোলেস্টেরল প্রোফাইলে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।
৯. চিনি ও কার্বোহাইড্রেট কমান
চিনি এবং রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট, যেমন সাদা পাউরুটি ও মিষ্টি খাবার, কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
১০. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
লাগাতার স্ট্রেস কোলেস্টেরল বাড়ায়। যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমান।