জ্বরের খাবার।
শেষ আপডেট: 3rd December 2024 16:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিজন চেঞ্জের সময়ে ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে জ্বর ঘরে ঘরে। এই অবস্থায় ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা, মাথাব্যথা এবং কখনও হালকা আবার কখনও বা তীব্র তাপমাত্রা দেখা দেয়। ভাইরাল জ্বর তখনই হয়, যখন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে।
জ্বরের চিকিৎসার জন্য ওষুধের প্রয়োজন হলেও, খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন করলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব। কিছু খাবার শরীরে শক্তি, জল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ভাইরাল জ্বরের সময় খাওয়ার জন্য ১০টি খাবারের তালিকা দেওয়া হল:
১. ডাবের জল
ডাবের জল প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ একটি পানীয়। এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে এবং জ্বরের কারণে শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া খনিজ পূরণ করে। এছাড়াও, এর প্রদাহনাশক গুণাগুণ শরীরকে আরাম দেয়।
২. চিকেন স্যুপ
চিকেন স্যুপ একটি প্রাচীন ঘরোয়া প্রতিকার। এটি সহজে হজমযোগ্য প্রোটিন শরীরে সরবরাহ করে, যা টিস্যু মেরামত ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গরম স্যুপ গলা ব্যথা ও সর্দি উপশমেও কার্যকর।
৩. সাইট্রাস ফল
কমলা, মুসম্বিলেবু বা মাল্টার মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের তীব্রতা কমায়। একই সঙ্গে, এগুলি হাইড্রেশন বাড়ায় ও গলা ব্যথা কমায়।
৪. আদা-চা
আদা প্রাকৃতিকভাবে প্রদাহনাশক এবং ভাইরাস প্রতিরোধী। জ্বরের মুখে আদা চা খেলে বমি বমি ভাব দূর হয়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।
৫. কলা
কলা নরম, সহজপাচ্য এবং প্রচুর শক্তি সরবরাহ করে। এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং জ্বরের কারণে হওয়া পেশির টান কমাতে সাহায্য করে।
৬. হলুদ-দুধ
হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামক উপাদান থাকে, যা শক্তিশালী প্রদাহনাশক এবং ভাইরাসবিরোধী। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা কমে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৭. ডালিয়া
ডালিয়ার খিচুড়ি একটি হালকা এবং সহজপাচ্য খাবার। এটি শরীরে শক্তি জোগায় এবং হজমশক্তির উপর কম চাপ ফেলে। এর সঙ্গে লবন ও লেবুর রস মেশালে এর স্বাদ বাড়ে।
৮. শাকসবজির স্যুপ
শাকসবজির স্যুপ পুষ্টিতে ভরপুর এবং সহজে হজম হয়। এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং হারিয়ে যাওয়া ভিটামিন ও খনিজ পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
৯. মধু
মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল। এটি গলা ব্যথা উপশম করে এবং কাশি কমায়। গরম পানীয় বা হার্বাল চায়ে মধু যোগ করলে এর কার্যকারিতা বেড়ে যায়।
১০. দই
প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যেহেতু অন্ত্রের সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে, তাই দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এতে থাকা প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামও দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়ক।