শেষ আপডেট: 25th November 2024 19:03
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো: ঘুরতে যাওয়ার অপশনে সবসময় হয় পাহাড় নয় সমুদ্র আসে। এই দুইয়ের জন্যই বোধহয় বাঙালিদের কাছে দীপুদা এত স্পেশাল। এই দুইয়ের বাইরেও এক্সপ্লোর করার মতো জায়গা কিন্তু রয়েছে। রিলের দুই ফেলুদা কিংবদন্তী শিল্পী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও সব্যসাচী চক্রবর্তীর যেমন জঙ্গল প্রেমী। জঙ্গল অ্যাডভেঞ্চারের সেরা জায়গায়। এই শীতে আপনিও কাঁধে ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন পশু-পাখিকে সঙ্গী করে। ঠিকানা রইল দ্য ওয়ালে।
রানথাম্বোর ন্যাশনাল পার্ক (রাজস্থান)
রানথাম্বোর দেশের অন্যতম বড় টাইগার রিসার্ভ সেন্টার। এখানে সাফারি করলে বাঘের সঙ্গে দেখা মিলতেই পারে। রানথাম্বোর যদি হয় আপনার ট্রাভেল ডেস্টিনেশন। তাহলে টাইগার সাফারির পাশাপাশি বিভিন্ন দূর্গ ও পুরনো দিনের ভাষ্কর্য দেখার সুযোগ মিলবে।
কানহা ন্যাশনাল পার্ক (মধ্যপ্রদেশ)
বিখ্যাত বই 'দ্য জাঙ্গাল বুক' লেখার পিছনে এই পার্কের অনুপ্রেরণা রয়েছে। ঘন জঙ্গল, সবুজে ঘেরা পরিবেশ সাফারির উপযুক্ত। এখানে বাঘের দেখা তো মিলবেই সঙ্গে লেপার্ড হতে পারে উপরি পাওনা।
গীর ন্যাশনাল পার্ক (গুজরাত)
গুজরাতের এই পার্কে লোকে ভিড় জমায় শীতে সিংহ দেখতে। সাফারি করে গীরে ঘুরে বেড়ালে দেখা পেতে পারেন সিংহের। এখানকার বিস্তীর্ণ জঙ্গল এলাকা ভাল লাগতেই পারে। অভিজ্ঞতা হতে পারে একদম অন্যরকম।
তাডোবা আন্ধারি টাইগার রিসার্ভ (মহারাষ্ট্র)
দেশের সেরা টাইগার রিসার্ভ ও সাফারির ডেস্টিনেশন হল তাডোবা। এখানে ভিড় সে অর্থে থাকে না। ফলে খুবই শান্তিতে সাফারি করা যায়। বাঘের দেখা তো পাবেনই
জিম কর্বেট ন্যাশনাল পার্ক (উত্তরাখণ্ড)
জিম কর্বেট ন্যাশনাল পার্কে কথা আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না। ছোটবেলা থেকেই এই পার্কের সঙ্গে পরিচিতি অনেকের। উত্তরাখণ্ডে একটু অন্যরকম পরিবেশে ঘুরতে চাইলে এই পার্ক হতে পারে আপনার ডেস্টিনেশন। সাফারি করলে দেখা পেতে পারে বাঘের। পাখিদের কিচিরমিচিরে ভাঙতে পারে ঘুম।
পেঞ্চ ন্যাশনাল পার্ক (মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র)
'দ্য জাঙ্গাল বুক' সবার কাছেই পরিচিত। এই লেখার পিছনে অনুপ্রেরণা পেঞ্চ ন্যাশনাল পার্ক বা পেঞ্চ জাতীয় উদ্যানও। শুধু বাঘ দেখা যাবে এখানে এমন না। এখানকার সবুজে ঘেরা পরিবেশ, জঙ্গল, পাখিদের ডাক সবই মুগ্ধ করবে। বাঘ ছাড়া লেপার্ডেরও দেখা মিলতে পারে।
ঝালানা ন্যাশনাল পার্ক (রাজস্থান)
জয়পুরের এই জাতীয় উদ্যান আপনাকে নিরাশ করবে না। গাছেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিতে পারেন। এখানকার পশু-পাখিদেরও প্রেমে পড়তে পারেন সহজে।