শেষ আপডেট: 13th November 2024 21:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর ২ দিনের মধ্যেই শীতের আমেজ শুরু হবে রাজ্যে। শীত পড়তেও আর বেশি দেরি নেই। শিরশিরে হাওয়া ইতিমধ্যেই বইছে উত্তরবঙ্গে। মনটা ঘুরু ঘুরু করছে তো? সোশ্যাল মিডিয়ার রিল লোভ দেখাচ্ছে বরফের দেশে যাওয়ার? কলকাতা থেকে কিছু দূরেই রয়েছে এমন জায়গা যা শীতে বরফের চাদরে ঢেকে যায়। আপনিও খুব সহজেই এসব জায়গা থেকে এই শীতে ঘুরে আসতে পারেন।
সিকিম
পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য সিকিম। ছোট গ্রাম হোক বা বিখ্যাত জায়গা, অনেকেই বলে, সিকিমের রূপটাই আলাদা। এই ছোট রাজ্যের একাধিক জায়গায় বরফ পড়ে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে। উত্তর সিকিমের গুরুদংমার, নাথুলা পাসে সবচেয়ে বেশি বরফ পাওয়া যায় এই সময়ে। লাচুংয়েও বরফ পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া পেলিং, পূর্ব সিকিমের জুলুক, জিরো পয়েন্টও বরফে ঢেকে যায়। ইয়ুমথাং গেলেও বরফ পেতে পারেন। তবে, যাওয়ার আগে আবহাওয়া জেনে যাওয়া জরুরি। অনেকসময়ই বরফের জন্য এই সব জায়গা খুব বেশি পর্যটকদের যেতে দেওয়া হয় না।
দার্জিলিং
একটা ম্যাজিক আছে দার্জিলিংয়ে। কাঞ্চনজঙ্ঘা সঙ্গে হালকা কুয়াশা, সবুজ গাছপালা আর পাহাড়ের কোলে ছোট ছোট বাড়ি-ঘর। ম্যাল, কেভেন্টার্স, দাস স্টুডিও আরও কত কী। রাস্তায় গরম জামার ফেরি দেখতে দেখতে কেটে যেতে পারে দিন। আর টয় ট্রেনের কথা তো আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই সুন্দরী দার্জিলিঙেই যখন বরফ পড়ে, তখন একদম অন্যরকম হয়ে যায়। বরফের মাঝে জয় রাইডে করে ঘোরার আনন্দটাই আলাদা।
সান্দাকফু
সান্দাকফু ১১,৯৩০ ফুটে। ফলে ডিসেম্বরে এখানে বরফ পড়েই। এখান থেকে মাকালু, লোতসে ও কাঞ্চজঙ্ঘার অন্যরকম রূপ দেখা যায়। যার টানে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে এখানে। তবে, বরফের টানে এই সময় প্রচুর মানুষ পৌঁছন।
রিম্বিক
সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কে রয়েছে রিম্বিক। খুব বেশি বরফ না পড়লেও এখানে হালকা বরফ পাওয়া যায় ডিসেম্বরের শেষের দিকে।
লাভা-লোলেগাঁও
রাজ্যের যেসব জায়গায় তুষারপাত হয়, তার মধ্যে লাভা-লোলেগাঁও অন্যতম। দার্জিলিঙের ভিড় নেই এখানে, আছে অপার শান্তি। লাভার মনাস্ট্রিটি খুবই বিখ্যাত। এখানে খুব শীত পড়লে বরফ পাওয়া যায়। শান্ত পরিবেশে কিছুদিন কাটাতে চাইলে, সঙ্গে বরফকে সঙ্গী করতে যাওয়া যেতেই পারে লাভা-লোলেগাঁও।