শেষ আপডেট: 27th October 2024 08:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শীত আসছে। ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডা হাওয়া বইছে কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এই সময় পাহাড় যেতে কার না মন চায়। বাঙালির কাছে পাহাড় মানেই দার্জিলিং। ওই যে দীপুদা। কাঞ্জনজঙ্ঘা দেখতে দার্জিলিঙে গেলেও অনেকেই আজকাল ভিড়ের জন্য বিরক্ত হন। কাঞ্জনজঙ্ঘা দেখতে তাই পৌঁছে যেতে পারেন এই সব জায়গায়। ভিড় নেই, নেই কোনও চেঁচামেচিও।
তাকদা
ইংরেজদের আমলে এটা ছিল ছুটি কাটানোর জায়গা। দার্জিলিং থেকে এর দূরত্ব মাত্র ২৮ কিলোমিটার। লেপচা শব্দ তুকদা থেকে এসেছে তাকদা। এর কাছেই রয়েছে পুবাং চা বাগান। দেখা যাবে তিস্তাকেও। আর এখান থেকে কাঞ্জনজঙ্ঘার রূপ? অপরূপ।
চারখোল
শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার লোভে নয়, শান্তিতে কিছুদিন কাটানোর জন্য পৌঁছে যেতে পারেন চারখোল। লোলেগাঁও থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে। ন্যাওড়াভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে কোলে অবস্থিত এই গ্রাম। এখান থেকে পরিষ্কারভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা তো দেখাই যায়, দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের পাখিও।
মিরিক
আগের দুটো ছিল অফবিট জায়গা। মিরিক সে অর্থে অফবিট নয়। কিন্তু মিরিক দার্জিলিঙের থেকে তুলনামূলক শান্ত। এখানকার ভ্যালির রূপ দেখার মতো। সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউও অসাধারণ। সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় দুই-ই ভালভাবে উপভোগ করা যেতে পারে মিরিক থেকে।
সিটং
কমলালেবুর রাজ্য সিটং। এখানে যাওয়ার পথে পড়বে মংপু। চারিদিকে সবুজে ঘেরা পাহাড়, আর কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউ এখান থেকে অসাধারণ। কম-বেশি সব বাড়িতেই কমলালেবুর গাছ চোখে পড়বে। চাইলে সেখান থেকে কমলালেবু কিনে খেতেও পারেন।
টুমলিং
সান্দাকফু যাওয়ার সময় টুমলিং পড়ে। কাঞ্চনজঙ্ঘার অন্যরকম রূপ দেখা যেতে পারে এখান থেকে। শীতে এই জায়গা বরফের চাদরে ঢেকে যায়, সেসময় আকাশ পরিষ্কার থাকলে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যেতে পারে।