
WICCI Mental Health: লকডাউনে বেড়েছে অবসাদ, পুরুষদের থেকে বেশি ভুগেছেন মহিলারা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লকডাউনে গৃহবন্দি অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের (Pandemic Mental Health) অবনতি হয়েছে মহিলাদের। দেশজুড়ে সমীক্ষায় দেখা গেছে, পুরুষদের থেকে অনেক বেশি মানসিক চাপ, অবসাদ ও একাকীত্বে ভুগেছেন মহিলারা। বিশেষ করে কর্মরত মহিলারা যেমন ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার থেকে বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মহিলারাই দীর্ঘ দু’বছর অতিমহামারী পর্যায়ে মানসিক উদ্বেগের শিকার হয়েছেন নানাভাবে।

করোনা পর্বে মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে নানা সময়ে। সম্প্রতি উইকির ( WICCI) উদ্যোগে একটি আলোচনা চক্রের আয়োজন হয়েছিল বেঙ্গল ক্লাবে। এখানে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন পেশার মহিলারা। অতিমহামারী পর্বে কর্মরত মহিলাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কেমন ছিল, সংক্রমণ পর্বে গার্হস্থ্য় জীবন কেমন ছিল, কতটা প্রভাব পড়েছে মহিলাদের মনে সেই সব নিয়ে নিজেদের নানা অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মহিলারাই।

অ্য়াপোলো হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ইউরোলজিস্ট ড. অমিত ঘোষ ও ক্যানডিড কমিউনিকেশনের কর্ণধার ও ডিরেক্টর পারমিতা ঘোষের তত্ত্বাবধানে মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পরিণতি নিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন ইডি নোটস স্টেশনারিরর ম্য়ানেজার ডিরেক্টর শালিনি বিশ্বাস, আর্টিস্ট-কিউরেটর অবন দেশাই, কোয়াইট ইজিলি ডানের কর্ণধার অনিশা সিং মোটওয়ানি, পশ্চিমবঙ্গ হসপিটালিটি ও ট্যুরিজম কাউন্সিলের সভাপতি অনিন্দিতা রায় সান্যাল, দ্য ওয়ালের ম্যাগাজিন ও ফিচার এডিটর সোমা লাহিড়ী, কিস্সার সূত্রধার বিভা মিত্র ও লরেটো ডে স্কুলের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ইন্দ্রানী গঙ্গোপাধ্যায়।


আলোচনায় উঠে এসেছে নানা প্রসঙ্গ। একদিকে ভাইরাসের সংক্রমণ ও অন্যদিকে স্বাস্থ্য সঙ্কটের জটিল সময়ে আতঙ্ক বেড়েছে। এই দুইয়ের প্রভাবে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নানা বদল আসছে। বিশেষ করে গৃহবন্দী দশায় কর্মরত মহিলারা নানারকম মানসিক চাপের সম্মুখীন হয়েছেন। গার্হস্থ্য হিংসার মুখেও পড়েছেন অনেকে। একই সঙ্গে বেড়েছে মানসিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।

কর্মরত যে মহিলারা লকডাউন পর্বে ঘরে থেকে কাজ করেছেন তাঁরা অনেক সময়েই কাজের সহায়ক পরিবেশ পাননি। ফলে মানসিক চাপ বেড়েছে। কাজে বাধা পড়ার দুশ্চিন্তা, কাজকর্ম সারার আগে-পরে নিয়মিত সাংসারিক কাজ, অফিস টাইমের বাইরে কাজ এলে পরিবারের অসন্তোষের মুখে পড়া— যে কাউকে উদ্বেগে রাখার পক্ষে যথেষ্ট। ব্যক্তিগত সম্পর্কেও সমস্যা তৈরি হয়েছে অনেকের। যাঁদের বাড়িতে আগে থেকেই অপ্রীতিকর পরিবেশ ছিল, তাঁদের সমস্যা ওই সময়ে আরও বেড়েছে। যার থেকেও প্রবল মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে মহিলাদের মনে। ফলে বদমেজাজ, খিটখিটে স্বভাব বেড়েছে অনেকেরই। মুড সুয়িং-এর সমস্যাতেও ভুগেছেন মহিলারা।
আলোচনার শেষে ডা. অমিত ঘোষ কলকাতা টকিং ক্লাব তৈরির কথা ঘোষণা করেন। এখানে মেয়েরা তাদের সমস্যার কথা যেমন বলতে পারবেন ,তেমনই নিজেদের সাফল্যের আনন্দও ভাগ করে নিতে পারবে। এতে মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।