
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আবহাওয়ার (Weather) ভাবগতিক বোঝা ভার। কখনও কাঠফাটা রোদ তো কখনও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। আকাশ কালো করে ঝেঁপে বৃষ্টি নামতে দেখলে মন ভাল হয়ে যায় চট করে। কিন্তু এই বর্ষাকালের (rainy season) একটা বড় সমস্যা বাতাসের আর্দ্রতা। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় খাবার (Store food) নষ্ট হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। বেঁচে যাওয়া খাবার সাধারণ প্লাস্টিকের প্যাকেটে (Single use plastic) করে কি ফ্রিজে রাখছেন?
ভারত সরকার ১লা জুলাই থেকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। বিভিন্ন দোকানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিকের স্ট্র, থালা, বাটি, গ্লাস ইত্যাদির ব্যবহার এবং বিক্রি বন্ধ করতে হবে। তাহলে উপায়? ঠান্ডা-গরমে কীভাবে বেশিদিন রেখে দেওয়া যায় খাবার? আজকের প্রতিবেদনে রইল তেমন কিছু সহজ টিপস।
পরিমিত রান্না করুন

একবারে বেশি করে রান্নার জন্য বর্ষাকাল কিন্তু মোটেই ঠিক সময় নয়। কারণ বর্ষায় খাবারে ফাংগাস জমে যাওয়ার প্রবণতা খুব বেশি থাকে। যেমন পাঁউরুটি বাইরে পড়ে থাকলে তাতে একদিনের মধ্যেই ফাংগাস জমে যায়। তাই যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই রান্না করুন। কোনও খাবার বেঁচে গেলে তা কোনও পাত্রে রেখে ঢাকা দিয়ে তবেই ফ্রিজে রাখুন। এতে খাবার ভাল থাকবে।
খাবার খোলা ফেলে রাখবেন না

রুটি, পরোটা বা কোনও সবজি ভাজা করে খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর বেঁচে থাকা খাবারটুকু পরে খাবেন ভেবে অনেকেই বাইরে ফেলে রাখেন। এতে খাবারে মাছি বসে জীবাণু ছড়াতে পারে। তাই বেঁচে যাওয়া রুটি, ভাজা সবজি জাতীয় খাবার সবসময় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়ে ক্যাসারলের ভিতরে রাখুন। তাতে খাবার জীবাণুর হাত থেকেও রক্ষা পাবে, আবার খাবারের স্বাদও বজায় থাকবে চমৎকার।
চাল,ডাল রোদে দিন

বর্ষাকালের স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় ঘরে জমে থাকা চাল, ডালে ফাংগাস পড়ে যায়। এর থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হল রোদ। বর্ষাতে যদিও রোদের মুখ কম দেখা যায়, তবুও যখনই রোদের দেখা মিলবে সম্ভব হলে খবরের কাগজ বা বড় থালাতে করে চাল, ডাল বা শস্যজাতীয় খাবার রোদে দিন। আর তা সম্ভব না হলে সেইসব সঞ্চিত শস্য রান্নার আগে একবার মাইক্রো ওভেনে দিয়ে সানড্রাই মোডে ঘুরিয়ে নিতেই পারেন। তাতেও কাজ হবে।
তাও যদি একেবারেই সম্ভব না হয়, তাহলে শস্যজাতীয় খাবার এয়ারটাইট বক্সে রেখে ঘরের মধ্যে শুকনো জায়গায় রাখুন।
কাঁচের বাসনের ব্যবহার বাড়ান

খাবার স্টোর করার জন্য সব থেকে ভাল বাসন হতে পারে কাঁচের বয়াম ও বক্স। এই বর্ষাতে বিশেষত নুন ও চিনি গলে যায়। তাই নুন চিনি বাঁচাতে কাঁচের বয়ামে শক্তভাবে মুখ বন্ধ করে রাখুন। আর নুন চিনির অতিরিক্ত আর্দ্রতা কমানোর জন্য বোতলের মধ্যে কিছু চাল রেখে দিন। তাতে আপনার নুন চিনি শুকনো থাকবে।
এমন কয়েকটা ছোট ছোট নিয়ম মেনে চললেই আমরা দেশকে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত করতে পারব। সেই সঙ্গে নিজেদের শরীরও সুস্থ রাখতে পারব। কোনও ভাল প্রকল্পকে কার্যকরী করার জন্য শুধু সরকার নয়, জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।
বর্ষার বৃষ্টিতে নিম্নচাপ দোসর! মুষলধারে বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে