
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২৫ বৈশাখ। আপামর বাঙালির কাছে শুধু এটি রবি ঠাকুরের জন্মদিন নয়, এ যেন এক উৎসবের দিন। এই বিশেষ দিনটিকে শ্রদ্ধা জানাতে সপ্তাহব্যাপী নানা জায়গায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। সেই যুগেও ঠাকুরবাড়ির নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পাশাপাশি অন্দরমহলের খাওয়া-দাওয়া (Thakurbarir Ranna) নিয়েও বিস্তর চর্চা চলত।
রবি ঠাকুরের জন্মদিনের পরেই ১৫ মে রবি ঠাকুরের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। ফলে বাবা ও ছেলের জন্মমাসকে মাথায় রেখে ঠাকুর পরিবারকে শ্রদ্ধা জানাতে সপ্তপদী রেস্তরাঁর চারটি আউটলেটে ১৫ দিনব্যাপী ‘ঠাকুরবাড়ির মহাভোজ’ নামে খাদ্য উৎসব শুরু হয়েছে।

রেস্তরাঁর কর্ণধার তথা শেফ রঞ্জন বিশ্বাস জানালেন, ঠাকুরবাড়ির নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তো আছেই। তবে ঠাকুর পরিবারেও নিত্যনতুন খাবার (Thakurbarir Ranna) নিয়ে চর্চা চলত। তাঁদের খাবারেরও নিজস্বতা রয়েছে, এক্সপেরিমেন্ট রয়েছে। ঠাকুরবাড়ির খাবার বাংলার ক্যুইজিনকে সমৃদ্ধ করেছে বলা যায়। নিত্য নতুন ইনোভেটিভ খাবার তৈরি করার প্রচলন দিব্যি ছিল ঠাকুরবাড়িতে।

ঠাকুর পরিবারের এক সদস্যা প্রজ্ঞা সুন্দরী দেবীর লেখা ঠাকুরবাড়ি খাওয়ার বই থেকে জানা যায় এসব কথা। তিনি ঠাকুরবাড়ির এই খাওয়া-দাওয়ার আবর্তে বড় হয়েছেন। ওঁর লেখা ‘আমিষ-নিরামিষ আহার’ নামে যে খাবারের বইটি রয়েছে, তা পড়লে অনেক কিছু তথ্য মেলে। ঠাকুরবাড়িতে পোস্তর বড়া তৈরি হত। তার মধ্যে বাদামকুচি, নারকেল থাকত। দুধ দিয়ে তৈরি হত শুক্তো, যা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রিয় পদ ছিল (Thakurbarir Ranna)।

এছাড়া রবি ঠাকুরের প্রিয় পদ ছিল টার্কিশ চিকেন কাবাব, যা অনেক সময় প্রজ্ঞাসুন্দরী নিজের হাতে তৈরি করে কবিকে খাওয়াতেন। পাঁঠার বাংলা নামে গ্রীষ্মকালে মাংসের পাতলা ঝোল তৈরি হত, যা বাড়ির প্রতিটি সদস্য একসঙ্গে বসে খেতেন। অনেক বিদেশীর সেইসময় ঠাকুর পরিবারে আনাগোনা ছিল। ফলে সেই কারণে ঠাকুর পরিবারে চপ, কাটলেটের প্রচলন ছিল।

এই ধরনের রকমারি ঠাকুরবাড়ির খাবারই (Thakurbarir Ranna) মিলবে এই উৎসবে। চলুন এক ঝলক দেখে নেওয়া যাক এই রেস্তরাঁর থালিতে কি কি পদ মিলবে? স্টার্টারে রয়েছে পোস্তর বড়া, টার্কিশ চিকেন কাবাব, চিংড়ির কাটলেট, সুগন্ধি ভেটকি। মেনকোর্সে বাসন্তী পোলাও, স্টিমড রাইস, দুধ শুক্তোনি, নারকেল দুধের মুগ ডাল, পটলের মালাইকারি, ঠাকুরবাড়ির সরষে ভেটকি, বাগানে মশালা চিংড়ি, পাঁঠার বাংলা, আমের পায়েস, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি পান।

খরচ ৮৪৯+জিএসটি (চাইলে দু’জন শেয়ার করতে পারবেন)।
এই উৎসব চলবে ২৫ মে পর্যন্ত।
যোগাযোগ ৯০০৭৯১২৪৩৩