
ডিজাইনার ইরানি মিত্র তাঁর উৎসব কালেকশন সাজিয়েছেন লেহেঙ্গা-স্কার্ট আর ইন্দো-ওয়েস্টার্ন শাড়িতে। তাঁর স্টুডিও ঘুরে খবরে সোমা লাহিড়ী
বাস্তব আর কল্পনার মিশেল ডিজাইনার ইরানি মিত্রর শাড়ি আর পোশাককে একটা অন্যরকম সৌন্দর্য দেয়। রোমান্স আর রহস্য মাখামাখি হয়ে অদ্ভুত একটা আকর্ষণ তৈরি করে। ইরানি একেবারে নিজের মতো। তাই ওর সৃষ্টিও ওরই মতো অভিনব।
কথা হচ্ছিল ইরানির সঙ্গে…
হঠাৎ করেই কি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে আসা?
ইরানি- ঠিক তা নয়, মনের মাঝে ছিলই কুঁড়ি হয়ে। নিজের জন্য শাড়ি তৈরি করতে করতে তা পাপড়ি মেলতে শুরু করল। ক্রমশ এটাই আমার জীবন-সত্য হয়ে উঠল। সেই সময় থেকেই মিডিয়াকে পাশে পেয়েছি। আসলে প্রথম থেকেই আমার ডিজাইন এতটাই অফ বিট হত, যে সংবাদমাধ্যম তাতে ইন্টারেস্ট পেত।
তোমার প্রথম দিকের কাজে ক্রোশে নিটিং খুব প্রাধান্য পেত। কেন?
ইরানি- একেবারে ঠিক বলেছেন। আপনার মনে আছে? আসলে ঠাকুমা দিদিমাদের কুরুশের কাজ করতে দেখতাম। খুব ভালো লাগত। সেটাই আমার ইন্সপিরেশন। তাঁতের থানের আঁচলে কুরুশের বড় মোটিফ আর পাড়ে সরু করে কুরুশের লেস দিয়ে যে শাড়িটা খুব পছন্দ করেছিলেন সবাই।
এবার দেওয়ালিতে কী ধরনের পোশাক তৈরি করেছ?
ইরানি- পুজোর সময় তো সকলেই ট্রাডিশনাল শাড়ি পরেছেন। দেওয়ালি কালীপুজোয় সকলেই একটু অন্যরকম পোশাক পরতে চান। আর এরপরই আসছে বিয়ের মরশুম। তাই আমার নতুন কালেকশন অনেকটাই পার্টি-টাইপ। লেহেঙ্গা, লেহেঙ্গা-স্কার্ট, ইন্দো ওয়েস্টার্ন শাড়ি করেছি একেবারে নতুন স্টাইলে।
কীরকম?
ইরানি- বেনারসের ব্রোকেড মেটিরিয়াল দিয়ে খুব ঘেরওয়ালা লেহেঙ্গা তৈরি করে তাতে নানান ধরনের ফ্যাব্রিকের প্যাচ বসিয়েছি পকেটের মতো করে। কোনওটা কটন, কোনওটা কনট্রাস্ট ব্রোকেড, কোনওটা স্যাটিন, কোনওটা সিল্ক, আবার কোনওটা এমব্রয়ডারি করা প্যাচ।
বাস্তব আর কল্পনার মিশেল ডিজাইনার ইরানি মিত্রর শাড়ি আর পোশাককে একটা অন্যরকম সৌন্দর্য দেয়। রোমান্স আর রহস্য মাখামাখি হয়ে অদ্ভুত একটা আকর্ষণ তৈরি করে। ইরানি একেবারে নিজের মতো। তাই ওর সৃষ্টিও ওরই মতো অভিনব।

হঠাৎ করেই কি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে আসা?
ইরানি- ঠিক তা নয়, মনের মাঝে ছিলই কুঁড়ি হয়ে। নিজের জন্য শাড়ি তৈরি করতে করতে তা পাপড়ি মেলতে শুরু করল। ক্রমশ এটাই আমার জীবন-সত্য হয়ে উঠল। সেই সময় থেকেই মিডিয়াকে পাশে পেয়েছি। আসলে প্রথম থেকেই আমার ডিজাইন এতটাই অফ বিট হত, যে সংবাদমাধ্যম তাতে ইন্টারেস্ট পেত।

ইরানি- একেবারে ঠিক বলেছেন। আপনার মনে আছে? আসলে ঠাকুমা দিদিমাদের কুরুশের কাজ করতে দেখতাম। খুব ভালো লাগত। সেটাই আমার ইন্সপিরেশন। তাঁতের থানের আঁচলে কুরুশের বড় মোটিফ আর পাড়ে সরু করে কুরুশের লেস দিয়ে যে শাড়িটা খুব পছন্দ করেছিলেন সবাই।
এবার দেওয়ালিতে কী ধরনের পোশাক তৈরি করেছ?
ইরানি- পুজোর সময় তো সকলেই ট্রাডিশনাল শাড়ি পরেছেন। দেওয়ালি কালীপুজোয় সকলেই একটু অন্যরকম পোশাক পরতে চান। আর এরপরই আসছে বিয়ের মরশুম। তাই আমার নতুন কালেকশন অনেকটাই পার্টি-টাইপ। লেহেঙ্গা, লেহেঙ্গা-স্কার্ট, ইন্দো ওয়েস্টার্ন শাড়ি করেছি একেবারে নতুন স্টাইলে।

ইরানি- বেনারসের ব্রোকেড মেটিরিয়াল দিয়ে খুব ঘেরওয়ালা লেহেঙ্গা তৈরি করে তাতে নানান ধরনের ফ্যাব্রিকের প্যাচ বসিয়েছি পকেটের মতো করে। কোনওটা কটন, কোনওটা কনট্রাস্ট ব্রোকেড, কোনওটা স্যাটিন, কোনওটা সিল্ক, আবার কোনওটা এমব্রয়ডারি করা প্যাচ।
প্রত্যেকটা প্যাচ কিন্তু পকেট। দেবলীনা কুমারকে আমার এই নতুন কালেকশন পরিয়ে শ্যুট করেছি। ওর খুব পছন্দ হয়েছে।
তোমার তৈরি একটা লেহেঙ্গা স্কার্ট তো ঋতুপর্ণারও পছন্দ হয়েছিল। সেটা কেমন ছিল?
ইরানি- আমার ওই ডিজাইনটা তো অল টাইম হিট। ওটাও কিন্তু নানা ধরনের ফ্যব্রিকের টুকরো বসিয়ে ফ্রিলের এফেক্ট দিয়েছিলাম। ওটা সিল্ক বেসে যেমন করি, তেমন পুরো কটনেও করি। ব্রাইট কালর্ড ফ্যব্রিকের মিক্স ম্যাচে তৈরি এই স্কার্ট পার্টিতে পরা যায়, আবার ছোটখাট অনুষ্ঠানেও।
গামছা নিয়েও তো কাজ করো তুমি। বিবি রাসেলের অনুপ্রেরণায়?
ইরানি- উনি তো লেজেন্ড। অবশ্যই আমার প্রেরণা। আমাদের নানান জেলার নানান ধরনের গামছা আছে। আমি শুধু হাওড়া, হুগলি নয়, বাঁকুড়া, বীরভূম, মেদিনীপুর থেকেও গামছা আনাই। সবরকম মেটিরিয়ালের সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে গামছা ব্যবহার করি। স্কার্ট, ড্রেস, পাঞ্জাবি, শাড়ি সবকিছুতেই গামছার কারিকুরি পছন্দ করেন স্টাইলিশ মানুষজন।
তুমি ছেলেদের পোশাকও কর?
ইরানি– ছেলেদের পাঞ্জাবি আর শর্ট কুর্তা করি। দেওয়ালি ভাইফোঁটার জন্যও করেছি। শুধু মেটিরিয়ালে নতুনত্ব নয়, কাটেও আমি নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

ইরানি- আমার ওই ডিজাইনটা তো অল টাইম হিট। ওটাও কিন্তু নানা ধরনের ফ্যব্রিকের টুকরো বসিয়ে ফ্রিলের এফেক্ট দিয়েছিলাম। ওটা সিল্ক বেসে যেমন করি, তেমন পুরো কটনেও করি। ব্রাইট কালর্ড ফ্যব্রিকের মিক্স ম্যাচে তৈরি এই স্কার্ট পার্টিতে পরা যায়, আবার ছোটখাট অনুষ্ঠানেও।

ইরানি- উনি তো লেজেন্ড। অবশ্যই আমার প্রেরণা। আমাদের নানান জেলার নানান ধরনের গামছা আছে। আমি শুধু হাওড়া, হুগলি নয়, বাঁকুড়া, বীরভূম, মেদিনীপুর থেকেও গামছা আনাই। সবরকম মেটিরিয়ালের সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে গামছা ব্যবহার করি। স্কার্ট, ড্রেস, পাঞ্জাবি, শাড়ি সবকিছুতেই গামছার কারিকুরি পছন্দ করেন স্টাইলিশ মানুষজন।

ইরানি– ছেলেদের পাঞ্জাবি আর শর্ট কুর্তা করি। দেওয়ালি ভাইফোঁটার জন্যও করেছি। শুধু মেটিরিয়ালে নতুনত্ব নয়, কাটেও আমি নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
ইন্দো ওয়েস্টার্ন শাড়িগুলো কীরকম?
ইরানি- বেশ কিছু বছর আগে শাড়িকে নতুন লুক দিতে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করি। স্টিচড স্কার্টের সঙ্গে আঁচল জুড়ে তৈরি শাড়ি, ফ্রিলের আঁচল ফ্রিলের বর্ডার দিয়ে তৈরি শাড়ি, ফিক্সড আঁচল শাড়ি, লেসের সঙ্গে ব্রোকেডের ফিউশন…
ইয়াং জেনারেশন তো বটেই, সব বয়েসের স্টাইলিশ মেয়েরা আমার এই শাড়িকে আপন করে নিয়েছেন। আসলে আমি কল্পনাকে বেশি গুরুত্ব দিই। আমার আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি শাড়ি পোশাক হয়ে ওঠে সকলের ভলোবাসার সম্ভার।
ইরানি- বেশ কিছু বছর আগে শাড়িকে নতুন লুক দিতে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করি। স্টিচড স্কার্টের সঙ্গে আঁচল জুড়ে তৈরি শাড়ি, ফ্রিলের আঁচল ফ্রিলের বর্ডার দিয়ে তৈরি শাড়ি, ফিক্সড আঁচল শাড়ি, লেসের সঙ্গে ব্রোকেডের ফিউশন…
