ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 6th November 2024 19:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এখন সর্বত্রই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অবাধ যাতায়াত। যত দিন যাচ্ছে বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপর নির্ভরশীলতাও। ২০২৩-এর গোড়া থেকেই গোটা বিশ্বজুড়েই ব্যাপক চর্চা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বছরভর গুগলের সর্বোচ্চ সার্চের তালিকাতেও উঠে এসেছে চ্যাটজিপিটি, ডিপ ফেক, এআই মতো শব্দ।
কিন্তু, এখনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সবটা ডেভেলপ করেনি। কিন্তু, তাতেই যা খেল সে দেখাচ্ছে তাতে চিন্তা না করে উপায় নেই। এবার উঠে নতুন এক তথ্য। স্মার্টফোনে জায়গা নিয়ে নিতে পারে এ আই। কে আবার স্মার্টফোন ছাড়া এখন জীবন কার্যত অচল।
সকলের দৈনন্দিন জীবনযাপনের অংশ হয়ে গিয়েছে কয়েক ইঞ্চির যন্ত্রটি। এমন অনেকেই আছেন, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত ফোন ছাড়া কাটাতে পারেন না এক মুহূর্ত। কিন্তু এই স্মার্টফোন আর কতদিন! আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিজ্ঞানীর মতে, স্মার্টফোনের আয়ু আর মাত্র কয়েক বছর। অর্থাৎ এক দশকের মধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে হাতের স্মার্টফোনটি। আর এই চাঞ্চল্যকর দাবীকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে মত বিরোধ। কিন্তু এমনটার বলার কারণ কী?
ইয়ান লেকুন নামের ওই বিজ্ঞানীর মত, মানবসমাজের আসলে প্রয়োজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। দৈনন্দিন জীবনে সব ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারবে এমন এক অ্যাসিস্ট্যান্ট মানুষের প্রয়োজন।
এখন মানুষের কাছে স্মার্টফোন রয়েছে। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই এসে পড়বে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস। এই রিয়েলিটি গ্লাসই কি স্মার্টফোনের জায়গা নিয়ে নেবে? বিজ্ঞানীর মতে, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। স্মার্টফোন হয়ে যাবে আউটডেটেড। মানুষের আর সব সময় তখন স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না।
ইনি প্রথম বিজ্ঞানী নন যিনি একথা বলেছেন। নোকিয়ার সিইও পেক্কা লান্ডমার্ক অবশ্য ২০২২ সালেই এমন কথা বলেছিলেন৷ তিনিও বলেছিলেন, '২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। সবটাই কাজ করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্য। তখন মানুষের শরীরে বিভিন্ন যন্ত্র বসানো থাকবে, তাতেই সব কাজ হয়ে যাবে। ফলে সেই দিন আসতে আর বেশি দেরি নেই।'