শেষ আপডেট: 3rd January 2025 18:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মোবাইল ফোন ব্যবহারের পরিমাণ শেষ কয়েক বছরে বিপুল পরিমাণে বেড়েছে বিশ্বে। উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে ফাইভ জি ফোনের সংখ্যাও। এখন যে ফোনই নতুন লঞ্চ হচ্ছে সবই ফাইভ জি। এই ফাইভ জি ফোনের রেডিয়েশন নিয়েই সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন প্রজেক্ট গোলিয়াটের গবেষকরা। ফাইভ জি ফোনে কোন সময় রেডিয়েশনের মাত্রা কত, তার একটা ধারণা পাওয়া গিয়েছে।
সুইজারল্যান্ডে এই গবেষণাটি হয়। যাতে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড (RF-EMF) এর এক্সপোজার তিনটি আলাদা অবস্থায় বিবেচনা করে দেখা হয়। প্রথমটি যখন ফোনটি ফ্লাইট মোডে রাখা হয়। দ্বিতীয়টি অ্যাকটিভ ডেটা ডাউনলোডের সময় ও তৃতীয়টি সাধারণ ডেটা আপলোডের সময়।
গবেষণাটি সুইজারল্যান্ডের প্রধান শহর জুরিখ, বেসেল, হেরগিসউইল, উইলিসাউ এবং ড্যাগমারসেলেনের মতো গ্রামীণ অঞ্চলে হয়। এক্ষেত্রে ৩০ হাজারেরও বেশি এলাকা থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হয়।
যখন ফোনটি ফ্লাইট মোডে ছিল, তখন রেডিওফ্রিকোয়েন্সি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের এক্সপোজার মূলত মোবাইল বেস স্টেশন থেকে আসছিল। গ্রামীণ এলাকায় গড় এক্সপোজার ছিল ০.১৭ মিলিওয়াট প্রতি বর্গমিটার। শহরে এই এক্সপোজার অনেকটা কম।
ডেটা ডাউনলোডের পরিমাণ যখন সবচেয়ে বেশি ছিল, তখন এক্সপোজারের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। গবেষকরা বলছেন, ৫জি নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত বিফর্মিং প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর দিকে সিগন্যাল পাঠায়। সেকারণেই এক্সপোজার বেড়ে যায়।
এই তিন ধাপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এক্সপোজার পাওয়া যায় ডেটা আপলোডের সময়। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই সময় শহরে গড় এক্সপোজার যা মিলেছে তার চেয়ে গ্রামীন এলাকায়।
এবিষয়ে গবেষক আদ্রিয়ানা ফার্নান্দেস ভেলুডো বলেন, গবেষণাটির ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলকভাবে দেখা হয়েছে। এই এক্সপোজারের পরিমাণ অবশ্যই অনেকটা বেশি সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে। ক্ষতিও দ্বিগুণ। কারণ আমরা সবসময় ফোন হাতে ও শরীরে কাছাকাছি রাখি। অতিরিক্ত পরিমাণ রেডিয়েশনের ফলে হতে পারে ব্রেন টিউমার ও ক্যানসারের মতো রোগ। তাই এনিয়ে সাবধান করেছেন গবেষক।
এই গবেষণা থেকে যদিও এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছননি গবেষকরা। এই সংক্রান্ত আরও কিছু গবেষণা আগামীদিনে হবে। শুধু সুইৎজারল্যান্ডেই নয়, সে সকল দেশে ছড়িয়ে পড়বে ফাইভ জি, সেসব দেশেই এই গবেষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।