শেষ আপডেট: 7th November 2024 19:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজকাল সাইবার জালিয়াতির মতো ঘটনা যেন রোজের বিষয় হয়ে উঠেছে। সাইবার অপরাধীরা এখন যে কোনও সময় যে কাউকে টার্গেট করতে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষ হয়রানির ভয়ে পুলিশের কাছে যেতে পিছপা হন। আর তাতেই আরও বেশি সাহস পেয়ে যায় স্ক্যামাররা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে মানুষের অনীহার মূল কারণ হল, ফলপ্রসূ সুরাহার অভাব।
আর দ্বিতীয় কারণ হল, অসংখ্য সাইবার ক্রাইম আমাদের চারপাশে ঘটলেও অত্যন্ত কম সংখ্যক মানুষ এই সাইবার ক্রাইম নিয়ে তদন্তভার সামলাচ্ছেন। ফলে তাদের পক্ষে কিছুতেই সম্ভব হয়ে উঠছে না সমস্ত অভিযোগের তদন্ত যথাযথভাবে করা। ফলে অভিযোগকারী ব্যক্তিদের সমস্যারও সমাধান হচ্ছে না।
তাছাড়া বর্তমানে ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত বেশিরভাগ কাজ স্মার্টফোনের সাহায্যে সহজে করা হয়। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই ডিজিটাল পেমেন্ট করে। তাই এর ফলে সাইবার অপরাধের ঘটনাও দ্রুত বেড়েছে। টাকা খোয়ানোর পর মানুষ বুঝতে পারছেন না এর পর কী করতে হবে। এই সব ধরনের সাইবার ক্রাইম থেকে নিরাপত্তা দেবে কুইক হিলের 'অ্যান্টিফ্রড.এআই'।
অ্যান্টিফ্রড.এআই কী?
কুইক হিল টেকনোলজিস লিমিটেড, একটি বিশ্বব্যাপী সাইবার নিরাপত্তা সমাধান প্রদানকারী, ভারতের প্রথম অ্যান্টিফ্রড.এআই) চালু করেছে। এটিকে জালিয়াতি প্রতিরোধ সমাধান বলা হচ্ছে। এই 'মেড ইন ইন্ডিয়া' সলিউশনটি আর্থিক জালিয়াতি থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।
ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ভারতীয়দের ১৭৫০ কোটি টাকা জালিয়াতি হয়েছে। ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, ৭৪০,০০০ এরও বেশি মানুষ অভিযোগ করেছে জালিয়াতির বিরুদ্ধে। এই সব দিককে মাথায় রেখেই আনা হয়েছে অ্যান্টিফ্রড.এআই।
এর মধ্যে রয়েছে যে যে ফিচারগুলি রয়েছে, তা হল রিস্ক প্রোফাইল, ফ্রড কল সতর্কতা, বিভিন্ন প্রকার স্ক্যাম সুরক্ষা, ফিশিং লিঙ্ক এবং প্রতারণামূলক ওয়েবসাইটগুলি সনাক্ত করতে পারার মতো ক্ষমতা, ব্যাঙ্কিং কল সতর্কতা, ফ্রড অ্যাপ ডিটেকটর,রিয়েল-টাইম সতর্কতা, সুরক্ষিত পেমেন্ট, ডার্ক ওয়েব মনিটরিং সিস্টেম, কল ফরওয়ার্ডিং সতর্কতা সহ স্ক্রিন শেয়ার অ্যালার্ট, প্রাপকের নাম ঘোষণা, স্পাই অ্যালার্ট, ফাইল ভল্ট এবং ব্রাউজিং সুরক্ষা এবং আরও অনেক কিছু। এসব ফিচারকে কাজে লাগিয়ে জালিয়াতি থেকে বাঁচা সম্ভব বলেই দাবি সংস্থাটির।