শেষ আপডেট: 18th December 2024 21:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিজ্ঞান গবেষণার গুণমানে দেশে সেরা কলকাতা। নেচার ইনডেক্স ২০২৪-এর প্রকাশিত তালিকায় অনুযায়ী দেশে সেরার তকমা পেল তিলোত্তমা। বিশ্বের ২০০টি শহরের মধ্যে কলকাতার র্যাঙ্ক ৮৪। প্রথম স্থানে রয়েছে বেইজিং।
প্রকাশিত গবেষণা পত্রের গুণমান কেমন তা যাচাই করে একটি তালিকা প্রতিবছর প্রকাশ করে নেচার ইনডেক্স। ২০২৪ সালে সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছে বিশ্বের ২০০ টি শহর। তার মধ্যে কলকাতা এদেশে প্রথম।
দেশের মোট গবেষণা পত্রের মধ্যে ১২.৫% অবদান কলকাতার। বেঙ্গালুরু রয়েছে কলকাতার পরে ৮৫ নম্বরে। এই তালিকার প্রথম ১০০-তে রয়েছে মুম্বইয়ে। দিল্লি অবশ্য প্রথম ১০০ থেকে ছিটকে ১২৪-এ। হায়দরাবাদ ১৮৪-তে। এক্ষেত্রে জেনেভার মতো শহরও রয়েছে কলকাতার অনেক পরে।
এক্ষেত্রে একদম প্রথমেই পরপর রয়েছে চিনের বেশ কয়েকটি শহর। প্রথমেই রয়েছে বেইজিং, তারপর দ্বিতীয়তে সাংঘাই। পঞ্চমে রয়েছে নানজিং ও নবম স্থানে রয়েছে ইউহান। তালিকার তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে নিউইয়র্ক এবং বস্টন।
১৮৭৬ সালে মহেন্দ্রলাল সরকারের হাত ধরে কলকাতায় তৈরি হয়েছিল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স। গবেষণায় এই প্রতিষ্ঠানের অনেক অবদান রয়েছে। ১৯৩০ সালে সিভি রমন এখানে গবেষণা করেন এবং রমন এফেক্টের জন্য নোবেল পুরস্কার পান। বাঙালি পদার্থ বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯২৪ সালে অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বোস আইনস্টাইন তত্ত্বের আবিস্কার করেন। ১৯৩১ সালে স্থাপিত হয় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট বা আইএসআই। ভারতীয় গবেষণায় এখনও অবদান রেখে চলেছে এটি। এছাড়াও শহরের আরও এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা বিজ্ঞানের প্রতি অবদান রেখেছে।
অনেকেই বলেন কলকাতা মানে মিটিং, মিছিল, রাজনীতি, খাবার এবং পর্যটন। কিন্তু এই শহরেই রয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেন, বসু বিজ্ঞান মন্দির বা সায়েন্সসিটির মতো জায়গা।
এই খবরটি আসার পর স্বভাবতই খুশি রাজ্য প্রশাসন। ব্রাত্য বসু টুইট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। শহরের অবস্থান সম্পর্কে সকলকে জানান।