শেষ আপডেট: 21st October 2024 20:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উৎসবের মরশুম মানেই অনলাইনে একের পর এক সেল। আর সেল আসতেই প্রতি মুহূর্তে অ্যাপ খুলে স্ক্রল করা। শুধু শপিং কেন, নেট-ব্যাঙ্কিং থেকে অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ, নেটফ্লিক্স থেকে অ্যামাজন অবসর সময়ে একবার করে ঢুঁ মেরে আসাই হয়।
তবে এই সব কিছুর জন্যই প্রয়োজন ইন্টানেটের। এমন ব্যস্ত দুনিয়ায় মানুষের যেন একমাত্র ভরসা ইন্টারনেট। প্রযুক্তির উন্নতি যেমন আধুনিক জীবনযাত্রাকে অনেকটা সহজ করেছে, তেমনই এর হাত ধরে ঝুঁকিও উপরি পাওনা হয়েছে। অনলাইনে যত্নে রাখা এক একটা অ্যাকাউন্ট যখন তখন পড়তে পারে ঝুঁকির মুখে। তারই ফাঁদ পেতে রেখেছে হ্যাকাররা।
ফ্লিপকার্ট থেকে শুরু করে অ্যামাজন, যে কোনও মুহূর্তে হ্যাক হতে পারে এসব অ্যাকাউন্ট। ফলে তাতে থাকা সমস্ত ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিমেষে চলে যাবে তাদের হাতে। এই রকম বিপদে পড়ার আগেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এর জন্য রয়েছে কিছু বিশেষ কৌশল।
হ্যাকিং থেকে বাঁচার কৌশল
যদি এমন কোনও আঁচ পাওয়া যায় যে, অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইটের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে তাদের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের ইমেল পাঠাতে হবে।
যে অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, সেটির পাসওয়ার্ড সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করে নেওয়া উচিত। এতে সব জায়গা থেকে অ্যাকাউন্টটির অ্যাক্সেস বন্ধ হয়ে যাবে। পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার আগে নগ আউট করে দেওয়া প্রয়োজন।
কোনও ‘পাবলিক-প্লেস’ অর্থাৎ কফি-শপ অথবা বিমানবন্দরের ওয়াই-ফাই কানেকশন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার না করাই ভাল। এতে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি বেশি থাকে। প্রয়োজনে ফোনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে লগইন করা উচিত।
তাছাড়া যদি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার মতো জালিয়াতির শিকার হন, তাহলে যোগাযোগ করা উচিত নির্দিষ্ট রাজ্যের ‘সাইবার ক্রাইম সেল’ বিভাগের সঙ্গে। সমস্যা সম্পর্কে তাদের বিশদে জানান এবং প্রয়োজনে থানায় অভিযোগ দায়ের করা দরকার।