শেষ আপডেট: 8th January 2025 18:33
আড্ডার সময় চায়ে চুমুক না দিলে ঠিক জমে না। চা প্রিয় বাঙালিকে নানা রকমের চা খাওয়াতে শ্যামনগরে হাজির হল চা ধাবা। ধাবা মানেই পাঞ্জাবি খাবার বা রুটি-তরকা মানে প্রচলিত খাবার পাওয়া যাবে, সেই কনসেপ্টকে দূরে সরিয়ে শুধুমাত্র চায়ের জন্য ধাবা খুলেছে। গত পাঁচ মাস ধরে চা প্রেমিকদের স্বাগত জানাচ্ছে এই ধাবা।
বাঙালি চিরকাল আড্ডা দিয়েছে চায়ের দোকানে। তাই ধাবাও জমে ওঠে সন্ধে হলে। নানা চায়ের সম্ভার নিয়ে গ্রাম্য পরিবেশে চায়ের ঠেকে আড্ডা মারার সুযোগ কেউ হাতছাড়া করে না।
৫০ ধরনের ভিন্ন স্বাদের চা-কফি পাওয়া যায় এই ধাবায়। সঙ্গে হরেক রকমের স্ন্যাকস। কোনটা আপনার পছন্দ শুধু জানিয়ে দিতে হবে। সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণের গ্যারান্টি চা-ধাবা দিচ্ছে।
এবিষয়ে ধাবার কর্ণধার সম্রাট দে বলেন, 'চা কালটারকে প্রোমোট করতে চাই পশ্চিমবঙ্গে। চায়ের ধাবা। যেখানে বিভিন্ন ধরনের চা পাওয়া যায়। আমাদের প্রায় ৫০-৬০ রকমের চা রয়েছে। চা,কফি, আইসক্রিম দিয়ে তৈরি মিল্ক শেক, কোল্ড কফি, হট চকলেটস। আমরা এই ধরনের কনসেপ্টকে মার্কেটে আনতে চেয়েছি। যেটা মানুষ ইতিমধ্যেই পছন্দ করছেন। সেই কারণেই চায়ের ধাবা এর নাম।'
তিনি আরও বলেন, 'দুধ চা পাওয়া যায়। মালাই চা, ক্যারামেল চা, হেজেলনাট চা। আমাদের চা এলাচ ও আদা দিয়ে তৈরি। খাওয়ার পর মুখে একটা আলাদাই স্বাদ পাওয়া যাবে। মোষের দুধের তৈরি। এছাড়াও আমাদের বিশেষত্ব হল দার্জিলিং চা। মাকাইবাড়ি ও ক্যাসেলটন বাগানের চা। মাত্র ৩০ টাকায় খাওয়াচ্ছি মানুষজনকে। এই ধরনের চা খেলে আলাদা অনুভূতি পাওয়া যায়। এখানে আল গ্রে চা, জবা ফুলের চা, অপরাজিতা ফুলের চাও পাওয়া যা। হরেক রকম কফিও পাওয়া যায়।'
মাত্র পাঁচ মাসে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন এই ধাবা। কলকাতা থেকে বহু মানুষ চা খেতে শুধু নয়, পিকনিকও করতে আসেন। তা নিয়ে বেজায় খুশি কর্ণধার-সহ এলাকাবাসীও।
চা প্রেমিক অমৃতা বিশ্বাসের দাবি, তিনি প্রায় রোজই আসেন চায়ের টানে। সব রকম চা চেখে দেখার চেষ্টা করেন।
সম্রাট দে শুধু মানুষকে চা খাওয়াচ্ছেন এমন নয়, তাঁর এই ধাবার দৌলতে কর্ম সংস্থানও হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই এই ধাবার কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।