শেষ আপডেট: 21st December 2024 19:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতাকে মানুষ সিটি অফ জয় বলেন। এই তকমা এমনি এমনি মেলেনি। এর পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। কলকাতা আনন্দ করতে জানে, উৎসবে গা ভাসাতে জানে, যেকোনও ধর্মের অনুষ্ঠানেই মেতে উঠতে পারে। এখানে বাঙালির কাছে শীতকালও একটা উৎসবের সমান। শীত আসলেই একাধিক উদযাপন, সঙ্গে বিশেষ বিশেষ খাবার দাবারে মজে যাওয়া। তালিকায় রয়েছে মোমো থেকে পিঠে তবে ডেস্টিনেশন একাধিক।
এমনই কিছু শীতের স্পেশাল খাবার ও ডেস্টিনেশনের হদিশ রইল দ্য ওয়ালে।
পিঠে
শীত আর পিঠে এই দুটো শব্দ আলাদাভাবে উচ্চারিত হলেও এর অর্থ খানিকটা মুদ্রার এপিঠ ওপিঠের মতো। শীতকাল মানে নারকেল, দুধ, নতুন গুড় এবং চালের গুঁড়োর রান্নাঘরে আনাগোনা। তবে অনেকের রান্নাঘরেই আজকাল আর এসব আসে না। কারণ অবশ্যই ব্যস্ততা এবং সময়। তাবলে কি পিঠে খাওয়া হবে না? বাঙালিদের পিঠে খাওয়াতে বহু মানুষ উদ্যোগ নিয়েছেন। তার মধ্যে পিঠে বিলাসী অন্যতম। রাসবিহারীতে রয়েছে এদের আউটলেট। যেকোনও ধরনের মিষ্টি পিঠে এখানে পাওয়া যায়। গুড়ের পিঠে ছাড়াও এখানে তরকারির পিঠেও পাওয়া যায়।
মোয়া
বাস স্ট্যান্ড, পাড়ার মিষ্টির দোকান বা ফেরিওয়ালা। শীতে রাস্তায় বেরোলে মোয়াকে ইগনোর করা কার্যত অসম্ভব। আর মোয়া মানেই জয়নগর। তবে সবাই জয়নগরের মোয়া বলে বিক্রি করলেও জয়নগরের মোয়া কিন্তু সব জায়গায় পাওয়া যায় না। কেউ যদি জয়নগর গিয়ে মোয়া কিনে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে তো সেটা বেস্ট। যদি তা না হয়,সেক্ষেত্রে অবশ্যই বড় কোনওমিষ্টির দোকান থেকে মোয়া খেলে ঠকার চান্স কম থাকবে। কলকাতার প্রায় সব বড় মিষ্টির দোকানেই এই সময় মোয়া পাওয়া যায়।
ফুলকপির সিঙাড়া
সারা বছর তো ফ্রিজে ফুলকপি থাকেই, কিন্তু শীতে ফুলকপি রান্না একটু বেশিই হয়। এমনও হতে পারে সকালে উঠে দেখলেন ফ্রিজ ভর্তি ফুলকপি। আর ফুলকপি দিয়ে যতরকম বিশেষ খাবার তৈরি হয় শীতে তার মধ্যে অবশ্যই ফুলকপি সিঙাড়া সবচেয়ে জনপ্রিয়। শীত পড়লে এই সিঙাড়া খেতে মুখিয়ে থাকে বাঙালি। দ্বারিক গ্র্যান্ডসন্স, কলকাতার বিখ্যাত পুঁটিরাম ফুলকপি সিঙাড়ার জন্য জনপ্রিয়। এছাড়াও পাড়ার দোকানগুলোতেও ভাল ফুলকপি সিঙাড়া পাওয়া যায়।
কড়াইশুঁটির কচুরি
ফুলকপির সঙ্গেই ফ্রিজে এই শীতকালে যার আগমন হয়, তা হল কড়াইশুটি। সারা বছর দেখা না মিললেও শীতে একেবারে সংসার নিয়ে হাজির হন। ফলে যে কোনও
খাবারেই দেখা যাবে কড়াইশুটি পাওয়া যাচ্ছে। এত কড়াইশুটি কিছু না করতে পেরে বাড়িতে মাঝে মধ্যেই কড়াইশুঁটির কচুরি হয়। যাদের হাতে এই সময়টা নেই, তারা কামধেনু, বলরাম মল্লিক রাধারমন মল্লিক, শ্যামবাজারের পুরনো একাধিক দোকান বা উত্তর কলকাতার কোনও দোকানে এই কচুরি ঠিক পেয়ে যাবেন।
ইংলিশ ব্রেকফাস্ট
শীত পড়লেই বাঙালিদের মন দার্জিলিং দার্জিলিং করে। দার্জিলিঙে যেতে না পেরে কলকাতায় বসেই একটু আমেজ নেওয়া যেতে পারে। এমন ভেবে অনেকেই ইংলিশ ব্রেকফাস্টে কবজি ডোবান। কলকাতায় সেরা ইংলিশ ব্রেকফাস্ট পাওয়া যায় একাধিক কন্টিনেন্টালেন্স রেস্তরাঁয়। যার মধ্যে ওয়াইস আউল ক্যাফে, আবার বৈঠক অন্যতম।
মোমো
শীতে মোমো খাবার প্রবণতাও বেড়ে যায় বহু মানুষের। মোমোর একাধিক ডেস্টিনেশন রয়েছে কলকাতায়। তার মধ্যে খুব ভাল মোমো টিবেটান ডিলাইট, হামরো মোমো, ইউয়ান, টুং ফং-এ পাওয়া যেতে পারে।
কফি
শীতকাল মানেই চায়ের সঙ্গে সঙ্গে কফিটাও অ্যাড হয় বাঙালিদের ডায়েটে। ঘন দুধের গরম কফি খেতে খেতে শীতের ঠান্ডা হাওয়াকে অনায়াসে তুরি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যায়। কলকাতার প্রায় সমস্ত ক্যাফেতে ভাল কফি পাওয়া যায়। তার মধ্যে ব্লু টোকাই, বুনোসিলো, রস্টারি কফি হাউস অন্যতম।