শেষ আপডেট: 30th January 2025 20:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শীতের মরশুম হলেও তাপমাত্রা বাড়ছে। পাল্টাচ্ছে ওয়েদার। এই সময় ঠান্ডা লাগা, কাশি ও ফ্লুতে সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন যে কেউ। শরীর গরম রাখতে অনেকেই সুরাপান করেন। ডিসক্লেমার থাকে মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। কিন্তু আপনি কি জানেন এর রয়েছে স্বাস্থ্যকর দিকও৷ ডাক্তারি পরিভাষায়, সামান্য সুরাপানে আপত্তি নেই৷ শুধু তা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়। শরীর ভাল রাখতে পারে এমন সুরার খোঁজই রইল 'দ্য ওয়াল'-এ। বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন সহজে।
কথা হচ্ছে জিঞ্জার ওয়াইনের। এটা কি আদৌ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল?
- জিঞ্জার ওয়াইনে রয়েছে আদা। যার একাধিক গুণ রয়েছে।
- আদা হার্বাল মেডিসিন হিসেবে কাজ করে। বায়োমলিকিউলার অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল আসপেক্টস নামের একটি বইতে এই নিয়ে গবেষণার একটি অংশ প্রকাশ করা হয়েছেয জানা গেছে, আদায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- আদা বমিভাব কমায়, যেকোনও সংক্রমণ কমায়, এমনকি ক্যানসারও প্রতিরোধ করে।
- জিঞ্জার ওয়াইনে আদা ছাড়াও লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ এবং তেজপাতা ব্যবহার করা হয়। যার অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি ভাইরাল ও অন্যান্য গুণ রয়েছে। শীতকালে এই ওয়াইন ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে ও শরীর গরম রাখতে পারে।
- দ্য জার্নাল অফ ফাইটোফার্মাকোলজি-র একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আদা ও কিশমিশ রয়েছে এমন ওয়াইন ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কার্যকর
এত গুণ পড়ার পর জিঞ্জার ওয়াইন বানাতে চাইছেন? রইল রেসিপি
উপকরণ
আদা - ২০০ গ্রাম (ছোট করে কাটা)
জল - ২ লিটার
চিনি - ১৫০ গ্রাম
শুকনো লঙ্কা - ৪টে
লবঙ্গ - ৮টা
দারচিনি স্টিক - ৪টে
এলাচ - ৬টা
কিশমিশ - ৫০ গ্রাম
তেজপাতা - ৪টে
ইস্ট - ১ চামচ
প্রথমে একটি প্যানে জল, টুকরো করা আদা, চিনি, শুকনো লঙ্কা, লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, কিশমিশ ও তেজপাতা দিয়ে দিতে হবে। সবটা ৩০ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে এবং তারপর ঠান্ডা হতে দিতে হবে। এরপর একটি পাত্রে আধ কাপ জল নিয়ে তাতে ইস্ট দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি এবার একটি পাত্রে ঢেলে সঙ্গে ওই ফুটিয়ে রাখা মিশ্রণটি দিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। পাত্রটি বা কাচের বোতলটি একটি ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় রেখে দিতে হবে ৭ দিন। মাঝেমধ্যে একটু নেড়েচেড়ে দিতে হবে। ৭ দিন পর মিশ্রণটি ছেঁকে নিয়ে আরও ১০ দিন ওইভাবেই রেখে দিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে জিঞ্জার ওয়াইন।
জিঞ্জার ওয়াইন বেশ কয়েকটি দেশে খুবই জনপ্রিয়। বিভিন্ন উৎসব উদযাপনে এটি পান করা হয়।