শেষ আপডেট: 7th May 2018 02:47
শাড়ি অতি আদুরে জিনিস। হাজার হোক, নারীকে জড়িয়ে থাকে শাড়ি। শাড়ি কেনা নাকি মহিলাদের নেশা। তা সে পুজো-পার্বণ হোক বা বিয়েবাড়ি, মাঝে মধ্যে দু-একটা শাড়ি না কিনলে মেয়েদের ঠিক মন ভরে না। কিন্তু এতো শখ করে কেনা শাড়ি অনেকসময়ই নষ্ট হয়ে যায়। ভাঁজে কেটে যাওয়া থেকে, সুতো খারাপ হয়ে যাওয়া-সমস্যা রয়েছে বহু। বেশিরভাগ সময়েই শাড়ি পরার পর সেটা আর যত্ন করে রাখা হয় না। কার্যতই এই অযত্নেই নষ্ট হয়ে যায় আপনার প্রিয় বহু দামি শাড়ি। তাই সুতি হোক শিফন কিংবা বাহারি সিল্ক, শাড়ি ভালো রাখার জন্য রইলো কিছু টিপস্। *শিফন : মনে রাখবেন শিফন হচ্ছে খুবই শৌখিন শাড়ি। তাই একে ভালো রাখতে যত্নও লাগে প্রচুর। শিফনের শাড়িতে কখনও ইস্ত্রি ব্যবহার করবেন না। অবশ্যই মাথায় রাখবেন আলমারিতে এই শাড়ি হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। সম্ভব হলে সেফটিপিন ব্যবহার থেকেও দূরে থাকুন। *শুধু শিফন নয়, যে কোনও শাড়িই হ্যাঙ্গারে না ঝোলানো ভালো। বিশেষত যে শাড়িতে সুতো কিংবা জরির কাজ থাকে, সেইসব শাড়ি হ্যাঙ্গারে রাখলে নকশার অতিরিক্ত ভারে শাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আরেকটা কথা মাথায় রাখবেন। নকশা করা শাড়ি সবসময় উল্টো করে ভাঁজ করবেন। অর্থাৎ নকশার দিক থাকবে ভিতরে। *চান্দেরি বা বেনারসি জাতীয় শাড়ি রাখার ক্ষেত্রে হ্যাঙ্গারে না রেখে ভাঁজ করে রাখুন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় কোনো সরু লাঠি জাতীয় জিনিসে রোল করে রাখলে। অথবা সাদা ট্রেসিং পেপার দিয়ে মুড়িয়েও রাখতে পারেন। কিন্তু মাঝে মাঝে শাড়ি অবশ্যই রোদে দেবেন। *বাড়িতে নয় বরং ভালো ড্ৰাই ক্লিনারস থেকে দামি সিল্ক বা বেনারসি শাড়ি কাচাবেন। সুতির শাড়িতে মার না দিয়ে সাধারণ ভাবে শাড়ি ইস্ত্রি করাই ভালো। তাতে শাড়ি টেঁকে বেশিদিন। জরির কাজের শাড়ির ক্ষেত্রে ড্রাই ক্লিন কিন্তু মাস্ট। *অনেকদিন বন্ধ জায়গায় শাড়ি থাকলে শাড়িতে দুর্গন্ধ হয়ে যায়। তাই শাড়ির মধ্যে কর্পূর বা ন্যাপথালিন দিয়ে রাখুন। কিংবা রাখতে পারেন নিমপাতা। কখনওই শাড়ির মধ্যে পারফিউম স্প্রে করবেন না। এতে শাড়িতে দাগ ধরে যায়। ঘামে ভিজে গেলে ভালো করে শাড়ি হাওয়ায় শুকিয়ে নিন। সরাসরি রোদের মধ্যে শাড়ি শুকোবেন না। এতে শাড়ির ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে যায়। চটে যায় রং। *যদি হ্যাঙ্গারে শাড়ি রাখতেই হয়, অ্যালুমিনিয়ামের হ্যাঙ্গার ব্যবহার করুন। অন্যান্য ধাতব হ্যাঙ্গারে রাখলে শাড়িতে মরচে পরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সবসময়ই শাড়ি ইস্ত্রি করবেন মাঝারি তাপে। অতিরিক্ত তাপে শাড়ি নষ্ট হবেই। শাড়ি ধোয়ার ক্ষেত্রে ডিটারজেন্টের সঙ্গে শ্যাম্পু মিশিয়েও ধুতে পারেন। এতে শাড়ি ভালো থাকে।