শেষ আপডেট: 16th September 2021 11:10
অবাঙালি হয়েও মনেপ্রাণে এক্কেবারে বাঙালি রিচা। রিচা শর্মা। কীভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখলেন, কী কী কাজ করছেন থেকে পুজোর চার দিন কেমন সাজবেন- সব কিছু মন খুলে জানালেন সোমা লাহিড়ীকে।রিচা শর্মা। তাঁকে আমরা প্রথম দেখেছি মিসেস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতার মঞ্চে ২০১১ তে। মিসেস ইন্ডিয়া-ইউনিভার্স খেতাব জিতে মঞ্চের সব আলো আপন করে নেন তিনি। তারপর আর থেমে থাকতে হয়নি। তিনি বলিউড টলিউডে অভিনয়, মডেলিং, মিউজিক ভিডিও যেমন করছেন, তেমনই সবার অগোচরে সমাজের পিছিয়ে পড়া মেয়েদের জন্য কাজ করে চলেছেন।
দ্য ওয়ালের জন্য পুজোর ফোটোশ্যুটে এসেছিলেন রিচা। তাঁর পছন্দের শাড়িতে সাজলেন ষষ্ঠী থেকে নবমীর সাজে।
আর দশমী? প্রশ্ন করতেই মুচকি হেসে বললেন, সিঁদুর খেলার সময় প্রতিবার লাল পাড় গরদটাই পরি। এবার যদি কোভিড পরিস্থিতি আয়ত্তে থাকে, সিঁদুর খেলা হয়, তাহলে গরদটাই পরব।
পার্ক হোটেলে আমাদের পুজোর ফোটোশ্যুট চলছিল। মেকআপ আর স্টাইলিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন কৌশিক-রজত। কাজের ফাঁকে ফাঁকে কথা চলছিল রিচার সঙ্গে।
হঠাৎ মিসেস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় নাম দেওয়ার ইচ্ছে হল কেন?
রিচা সিরিয়াস। হঠাৎ নয় দিদি। ইচ্ছেটা বিয়ের আগে থেকেই ছিল। আমি কানপুরের মেয়ে। 'মিস কানপুর' কনটেস্টে নাম দিয়েও বিশেষ কারণে ক্যুইট করতে হয়েছিল। আমার এক বন্ধু সব জানত। ও মুম্বইতে থাকত। ওই আমাকে মিসেস ইন্ডিয়ার ডিটেলস পাঠিয়েছিল। আমার হাজব্যান্ড আমাকে খুব সাপোর্ট করেছিল। ফ্যামিলি থেকেও আপত্তি আসেনি। সেদিক থেকে আমি ভাগ্যবান।
তখন আমার মেয়েও ছোট ছিল। তবু নিজের স্বপ্নপূরণের সুযোগ আমি হাতছাড়া করিনি। প্র্যাক্টিস প্র্যাক্টিস প্র্যাক্টিস... খুব খেটেছিলাম। যখন মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স হিসেবে আমার নাম ঘোষণা হল আমি আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম।
- বেশ ভালো বাংলা বলো তো!
- আমি বাংলা পড়তেও শিখে নিয়েছি। যদিও আমার উচ্চারণে হিন্দি টান আছে। বাংলা ফিল্মে অভিনয়ও করছি।
- কী কী ছবি করছ?
- রাজর্ষি দে'র 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা', 'মায়া' করছি। খুব নতুন কনসেপ্টে মিউজিক ভিডিও করছি। একটা হিন্দি ওয়েব সিরিজও সাইন করেছি বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে। এখন মেয়ে বড় হয়ে গেছে। মুম্বইতে গিয়ে কাজ করতে অসুবিধে নেই।
- তুমি মুম্বইতে আগে কাজ করেছ?
- ( হাসতে হাসতে) আরে হ্যাঁ করেছি তো। ২০১১তে মিসেস ইন্ডিয়া হওয়ার পর বলিউডে বেশ কয়েকটা অফার পেয়েছিলাম। গোবিন্দাজির সঙ্গে 'ম্যায় হু হিরো' করেছি। তারপর আরবাজ খানের সঙ্গে ছবি করেছি। ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে হেঁটেছি। কিন্তু তখন মেয়ে ছোট, তাই ফিরে এসেছি কলকাতায়।
- যাক, এবার আমরা পুজোর কথায় আসি। কোন দিন কী প্ল্যান?
- ষষ্ঠীতে এই বাটিক তসরটা পরব ভাবছি। জিওমেট্রিক আর ফ্লোরালের মিক্স ম্যাচ। বেশ অন্যরকম। ডিজাইনার শান্তনু গুহঠাকুরতা অসাধারণ কাজ করেছেন।
- আর সপ্তমীতে?
- আমার প্রিয় রঙ পিঙ্ক। ডিপ পিঙ্ক এমব্রয়ডারি করা শাড়িটা সপ্তমীর জন্য বাছলাম।
- অষ্টমীর দিনের জন্য কি কাঞ্জিভরম?
- (মজাদার ভঙ্গি করে) ইয়েস। বাঙালি মায়ের মতো স্টাইলে পরব। শাড়িটা বেনারসি টেক্সটোরিয়ামের।
- নবমীতে স্টাইলিশ কিছু?
- এক্কেবারে ঠিক ধরেছেন। লেমন টিস্যু অরগ্যঞ্জা পরব। তবে এবার যে কী পরিস্থিতি হবে এখনও বোঝা যাচ্ছে না। কয়েকটা পুজোর জাজ হিসেবে ইনভিটেশন পেয়েছি। সব কিছু ঠিক থাকলে যাব। আর দশমীতে গরদ পরে সিঁদুর খেলা মাস্ট। দুর্গা মায়ের আশীর্বাদে সব দুর্গতি দূর হোক এই প্রার্থনা করি।